scorecardresearch
 

Kolkata Heritage Buildings: বাড়ি 'প্রাচীন' মানেই হেরিটেজ নয়, কী কী দেখা হবে? নিয়মে বড় বদল আনছে পুরসভা

কলকাতা পুরসভা (KMC) শহরের ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলিকে সংরক্ষণ এবং যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে আরও বৈজ্ঞানিক এবং নির্ভুল পদ্ধতিতে হেরিটেজ গ্রেডেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভার পদ্ধতিতে আইনি এবং বাস্তবিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার নতুন একটি স্কোরশীটের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement
কলকাতার পুরোনো বাড়ি।-ফাইল ছবি কলকাতার পুরোনো বাড়ি।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কলকাতা পুরসভা (KMC) শহরের ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলিকে সংরক্ষণ এবং যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে আরও বৈজ্ঞানিক এবং নির্ভুল পদ্ধতিতে হেরিটেজ গ্রেডেশনের উদ্যোগ নিয়েছে।
  • দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভার পদ্ধতিতে আইনি এবং বাস্তবিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

কলকাতা পুরসভা (KMC) শহরের ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলিকে সংরক্ষণ এবং যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে আরও বৈজ্ঞানিক এবং নির্ভুল পদ্ধতিতে হেরিটেজ গ্রেডেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভার পদ্ধতিতে আইনি এবং বাস্তবিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার নতুন একটি স্কোরশীটের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০০৯ সালে KMC কলকাতার ১,৩৯২টি ভবনকে হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তবে এর মধ্যে ৩০৫টি ভবনের এখনও পর্যন্ত সঠিক গ্রেডেশন হয়নি। নতুন পদ্ধতিতে তিনটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে ভবনগুলিকে গ্রেড করা হবে:

ঐতিহাসিক মূল্য (৪০%)
স্থাপত্য মূল্য (৪০%)
ব্যবহারিক মূল্য (২০%)

আরও পড়ুন

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট KMC-র বিরুদ্ধে একটি মামলায় কার্ল মার্কস সরণির একটি বাড়িকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালত জানায়, KMC-র যুক্তি ছিল লোককাহিনী এবং শ্রুতির ওপর ভিত্তি করে, যা প্রমাণসাপেক্ষ নয়। এই ঘটনার পর থেকেই পুরসভা আরও প্রমাণ-সমর্থিত এবং পেশাদার পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

KMC-র মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “১৫ বছর আগের তালিকায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। আমরা সেই তালিকাকে পরিমার্জন করে নতুনভাবে হেরিটেজ ভবন চিহ্নিত করব।"

মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল পাওয়ার পর এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। মুলতুবি থাকা ভবনগুলিকে গ্রেড করার জন্য টেন্ডার ডাকা হবে।

হেরিটেজ গ্রেডেশন এবার আরও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হবে, যা ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞদের একটি নির্দিষ্ট স্কোরিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি ভবনের ঐতিহাসিক, স্থাপত্য এবং ব্যবহারিক গুরুত্ব নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে যেসব ভবন প্রকৃত অর্থে হেরিটেজ তকমা পাওয়ার যোগ্য, সেগুলো সঠিক গ্রেড পাবে।

Advertisement


 

Advertisement