scorecardresearch
 

কলকাতা-বিধাননগরে বন্ধ করা যাবে না হুক্কা বার, নির্দেশ হাইকোর্টের

হুক্কা বার নিয়ে এদিন দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা পুলিশের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, হুক্কা বার বেআইনি ভাবে চলছে। সেক্ষেত্রে ২০০৩ সালে পাশ হওয়া একটি আইনের উল্লেখও করেন সরকারি আইনজীবী। পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, হুক্কা বার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। হুক্কা বার সম্পূর্ণ আইন মেনেই চলছে বলে দাবি তাঁর। জয়দীপবাবু আরও বলেন, 'এর আগে মুম্বাই চেন্নাই ও আহমেদাবাদে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।'

Advertisement
হুক্কা বার নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের হুক্কা বার নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের
হাইলাইটস
  • হুক্কা বার নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি
  • হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না
  • নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকায় কোনও হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, যেহেতু এই নিয়ে রাজ্যের কোনও আইন নেই, তাই হুক্কা বার চলতে পারে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য়, 'যদি সিগারেট খাওয়ার অনুমোদন থাকে। তাহলে হুক্কাতে তো নিকোটিন আর হারবাল আছে, তাতে বাধা কোথায়। পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট সম্পূর্ন ভেক।'

হুক্কা বার নিয়ে এদিন দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা পুলিশের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, হুক্কা বার বেআইনি ভাবে চলছে। সেক্ষেত্রে ২০০৩ সালে পাশ হওয়া একটি আইনের উল্লেখও করেন সরকারি আইনজীবী। পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, হুক্কা বার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। হুক্কা বার সম্পূর্ণ আইন মেনেই চলছে বলে দাবি তাঁর। জয়দীপবাবু আরও বলেন, 'এর আগে মুম্বাই চেন্নাই ও আহমেদাবাদে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।'

'রাজ্যের আয় হবে'

উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি মান্থা বলেন, 'একজন মেয়রের কথার ভিত্তিতে হুক্কা বার বন্ধ করা যায় না। পুলিশ যদি কোনও মাদক ব্যবহারের প্রমাণ পায় তাহলে সেই রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে পারে। সাধারণ এলাকায় স্মোকিং জোন করা যাবে না। রেস্টুরেন্ট গুলোতে স্মোকিং জোন থাকা দরকার।' অন্যদিকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে আইনজীবী দাবি করেন, হক্কা বারকে কোনও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সেই যুক্তিও খারিজ করে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, 'হুক্কা বারের জন্য ট্রেড লাইসেন্স দরকার হয় না। যাঁরা খাবেন তাঁদের বিষয়। এতে রাজ্যের আয় হবে।'

'হুক্কা বার বন্ধ করতে হলে আইনের সংশোধন করতে হবে'

বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, 'কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকায় হুক্কা বার বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আইন মেনে হয়নি। ফলে পুলিশ এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। তবে ওই সব হুক্কা বারে আইনের বাইরে কোনও কিছু হয়ে থাকলে পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।' এই প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার সরাসরি নির্দেশ, 'রাজ্যে হুক্কা বার বন্ধের কোনও রুল নেই। রাজ্যকে হুক্কা বার বন্ধ করতে হলে নতুন করে আইনের সংশোধন করতে হবে। তাই কলকাতা বা বিধাননগর এলাকায় হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। এর থেকে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে।' এখন দেখার হাইকোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করে পুলিশ প্রশাসন। 

Advertisement

আরও পড়ুন - সাগরদিঘি উপনির্বাচনে TMC-র প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

 

Advertisement