ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব সরাসরি কলকাতায় পড়বে, এমন কোনও বার্তা এখনও পর্যন্ত দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যদিও তাতে অবশ্য চুপ করে বসে নেই কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়জনিত যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আগামি সপ্তাহে পুরসভার নিচুতলা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বৃষ্টির জেরে যাতে কলকাতার কোথাও দীর্ঘক্ষণ জল জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশও দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি পুরসভার কন্ট্রোল রুমটিকে আরও সক্রিয় ও সতর্ক থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব পর্যায় থেকে বার্তা পৌঁছে গিয়েছে পুরসভায়। পাশাপাশি পুরসভাকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরও। তাই সবদিক থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখছে পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংয়ের নেতৃত্বে নালাগুলি পরিষ্কারের কাজ অনকটাই এগিয়েছে। তাই বৃষ্টিতে শহরের রাস্তায় জল জমবে না বলেই আশাবাদী কলকাতা পুরসভা।
পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর জেলাসফর
এদিকে শুধু পুরসভাই নয়, রাজ্য প্রসাসনের তরফেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে সমস্ত রকমের ব্যবস্থাপনা। এমনকি জেলাসফরও আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ তারিখ পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করবেন বলে আগে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Benrjee)। তারপরের দিন অর্থাৎ ১১ তারিখ পশ্চিম মেদিনীপরেই বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। এরপর ওই দিন বিকেলে ঝাড়গ্রামে ছিল তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক (Administrative Review Meeting)। আর তার ঠিক পরের দিন, অর্থাৎ ১২ তারিখ একইভাবে ঝাড়গ্রামে দলের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে আপাতত পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে গোটা কর্মসূচি। সেক্ষেত্রে আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখ তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম সফর আয়োজিত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - বলিউডের এই ৭ 'মা', জয় করেছেন দর্শক হৃদয়