scorecardresearch
 

বুধের বৈঠকে 'দর্শক', অরবিন্দকে নিয়ে শুক্রে মোদীর ডাক ফেরালেন মমতা

বুধবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই বৈঠকে নীরব দর্শক হয়ে থাকেন তিনি। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মমতা।

Advertisement
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - ফাইল ছবি। নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • বুধবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা।
  • তাঁকে বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি।
  • যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মমতা।

শুক্রবার ঋষি অরবিন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকছেন না। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বিদ্বজ্জন ও আমলাদের নিয়ে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে একথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, আমি থাকছি না। তুমি চিঠি লিখে কেন্দ্রকে জানিয়ে দাও। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্বগতোক্তি,''আমার সঙ্গে অতবেশি রাজনীতি করা উচিত নয়।''

কেন গোঁসা মমতার? 

বুধবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই বৈঠকে নীরব দর্শক হয়ে থাকেন তিনি। তাঁকে বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। অথচ অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিজের মতো করে বলেছেন। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মমতা। তাই শুক্রবার ঋষি অরবিন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ দিন নবান্ন সভাঘরে বৈঠক চলাকালীন মমতা বলেন,''দ্বিদেবী আমি কাল থাকছি না। কারণ আমাকে গতকাল বলতে দেওয়া হয়নি। আর ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি। তাতে শিলমোহর দিয়েছে আমাদের কমিটি। কেন্দ্রীয় সরকার যা করছে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। ওরা ওদের মতো করুক আমরা আমাদের মতো। আর ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে আমাদের কমিটির মিটিং হয়ে গিয়েছে। আমাদের নতুন করে বলার কিছু নেই।''

স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে বৈঠকে তাঁর অনেক কিছু বলার ছিল বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়,''গতকাল বলতে দিলে বলতাম। আগমিকালের মিটিং একজনের উপরে। এটা আলোচনা করে নিয়েছি। ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে কর্মসূচি ইতিধ্যেই শুরু করেছি। আলিপুর জেলে আমাদের হেরিটেজ আছে। কীকী করছি বলে দাও। আমরা এগুলি করেছি।''মুখ্য়সচিবকে তাঁর নির্দেশ,তুমি চিঠি লিখে জানিয়ে দিও।  গোটা ঘটনাতেই রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছেন মমতা। তাঁর স্বগতোক্তি,''আমার সঙ্গে অতবেশি রাজনীতি করা উচিত নয়।'' 

Advertisement

আরও পড়ুন- আগামী দুর্গাপুজোয় ১০দিন আগে থেকে উৎসব, ঘোষণা মমতার

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এহেন আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। নবান্ন সভাঘরে শিল্পী যোগেন চৌধুরী বলেন,''সংবাদমাধ্যমে দেখলাম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে অসম্মান করা হয়েছে। তার প্রতিবাদ করছি। স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকায় অগ্রগণ্য়। প্রধানমন্ত্রী যা করলেন তা অগণতান্ত্রিক। তীব্র নিন্দা করছি।'' সেই সুরেই জয় গোস্বামী জানান, ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানের দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব স্পষ্ট হয়েছিল। ওঁর ব্যবহারে আমরা বিস্মিত নই। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর মনোভাবকে নিন্দা, ধিক্কার ও উপেক্ষা করব। 

আরও পড়ুন- পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় বাড়বে তাপমাত্রা, বৃষ্টির পূর্বাভাস দার্জিলিঙে

Advertisement