বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন। রাজভবনের টাউনহলে তিনি শপথ নেবেন। বাকি বিধায়করা শপথ নেবেন বৃহস্পতিব ও শুক্রবারে। আগামীকাল সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হবে শপথগ্রহণ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রশান্ত কিশোর। থাকবেন বড় নেতারা। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ক্রিকেটার গৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন মনোজ টিজ্ঞা, অধীর চৌধুরী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
আগামীকাল শপথ মমতার
বাংলা বিধানসভা সদ্য ২৯৪টির আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জিতেছে ২টি আসনে। আইএসএফ একটি এবং অনান্যরা একটি আসনে জিতেছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নন্দীগ্রাম আসনে হেরে গিয়েছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তাকে অন্য একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। সোমবার রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখানে নিজের পদত্যাগ পত্র তুলে দেন।
হিংসা নিয়ে অসন্তোষ রাজ্যপালের
অন্যদিকে রাজ্যে ক্রমশ হিংসার ঘটনা অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। এদিন কড়া ট্যুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ট্যুইটে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে ধনখড় লেখেন, "গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক এমন অনর্থক হিংসা, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। এই অরাজকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।" ট্যুইটে ধনখড় প্রশ্ন তোলেন, "কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা? কেন গণতন্ত্রের ওপরে এই হামলা? ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ইঙ্গিত। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন।" একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথাও বলেন ধনখড়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ফোন করেন রাজ্য়পালকে। এমন অবস্থায় বিজেপি-সহ বিরোধী নেতারা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকেন কিনা, সেটাও দেখার।