মদ্যপান করে টাল সামলাতে না পেরে পানশালার লিফটের দরজা দিয়ে পড়ে গেল এক যুবক। তিনতলা থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাকে সেখান থেকে কোনও রকমে উদ্ধার করে পানশালার কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শ্যামপুকুর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। পানশালার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের তরফে তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
হেয়ার স্ট্রিটে অঘটন
১০ অগাস্ট বুধবার রাত ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পানশালা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট এলাকার নাইট কুইন বারের ঘটনা।
তিনতলা থেকে লিফটের দরজা দিয়ে নীচে পড়েন ওই ব্যক্তি
এক ব্যবসায়ী প্রদীপ শ (৫৫) তাঁর কর্মক্ষেত্রের মালিকের সঙ্গে রাত সওয়া আটটা নাগাদ বাইক নিয়ে ওই পানশালায় ঢোকেন। ১০ টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে বসে দেদার মদ্যপান করেন। পানশালার তরফে জানানো হয়েছে দুজনে মিলে পান করে ১০ টা নাগাদ হাতে বাইকের হেলমেট নিয়ে বের হন। তারপরই এই দুর্ঘনাটি ঘটে। লিফট তখন নীচতলায় ছিল। কিন্তু সম্ভবত নেশার ঘোরে লিফটের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়েন। আর উপর থেকে পড়ে যান।
তদন্তে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ
কিন্তু প্রশ্ন হল, লিফট নীচে থাকার সময় কীভাবে লিফটের দরজা খুলল? লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে জানা গিয়েছে যে মৃত প্রদীপবাবু তার তাঁর মালিক হাওড়া, সালকিয়ার সুমিত সারাওগির সাথে সওয়া আটটার দিকে পিএস হেয়ার স্ট্রিটের অধীনে নাইট কুইন বারে এসেছিলেন এবং উভয়েই মোট ১০ পেগ লার্জ হুইস্কি পান করেন।
পানশালার কর্মীরা মই দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন
লিফট থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ পেয়ে হোটেলের কর্মীরা ছুটে আসেন। নীচতলায় থাকা লিফটম্যান তাপস বৈদ্য এবং একজন পার্কিং ম্যান তাঁকে মই দিয়ে উদ্ধার করেন এবং তারপর সুমিত সারাওগি তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নির্যাতিতার স্ত্রী চান্দা শ এবং তার ছেলে আয়ুশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা হাসপাতালে আসেন। এখন এটি দুর্ঘটনা না অন্যকিছু সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।