মশার উৎপাতে বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে সল্টলেক ও নিউটাউনের বাসিন্দাদের। সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাও দুস্কর হয়ে উঠেছে। টুইন টাউনশিপের ক্যাফে এবং অন্যান্য খাবারের মালিক এবং কর্মীরা প্রতি ১০ মিনিট অন্তর মশার স্প্রে ব্যবহার করছেন।
যদিও গত কয়েক সপ্তাহে শহরে খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি, তবে নিউ টাউন এবং সল্টলেকে মশার সংখ্যা তীব্রভাবে বেড়েছে। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেষ্টপুর খাল এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের জমা জল সল্টলেক, বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ, লেকটাউন এবং বাগুইআটির মতো এলাকাকে মশার আতুঁরঘরে পরিণত করেছে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব বেড়েছে।
আরও পড়ুন-কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেওয়া যাবে না, সার্কুলার দিয়ে জানাল রাজ্য পুলিশ
ওই খালের জল স্থির হয়ে গেছে এবং মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে লার্ভিসাইডও নেই। জানিয়েছেন এক পুরসভা আধিকারিক। পরিস্থিতি এমন যে বাসিন্দারা তাদের প্রায় পুরো শরীরকে পোশাকে মুড়িয়ে রাখছেন। এবং সকালে বা সন্ধ্যায় হাঁটার আগে শরীরের বাইরের অংশে মশা নিরোধক ঘষছেন।
প্রায় সারাদিনই দরজা জানলা বন্ধ রাখতে তো হচ্ছেই। বাইরে বেরোলে হাতেপায়ে মশার স্প্রে লাগিয়ে বেরোতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বহু মানুষ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রজনন স্থান ধ্বংস করাই হচ্ছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়, যেগুলো মশা দ্বারা ছড়ায়।