গত ২১ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোরের সভায় ইমাম, মোয়াজ্জেমদের মাসিক ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই ৫০০ টাকা বর্ধিত অর্থ নিয়ে ইমাম, মোয়াজ্জেম ও পুরোহিতদের কোনও লাভ হবে না বলে মনে করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বাংলা ডট আজতক ডট ইন-কে তিনি বলেন,'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রকৃত উন্নয়ন করতে চাইলে প্রথমে বলব, সাচার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করুন। এখনও সাচার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি সরকার।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে ইমামদের মাসিক ভাতা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এতদিন তাঁরা পেতেন ২৫০০ টাকা। এবার থেকে দেড় হাজার টাকা পাবেন মোয়াজ্জেমরা। সেই ২০১২ সাল থেকে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত কম টাকা ভিক্ষার সমান বলে মত নওশাদ। তিনি বলেন,''ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু বা হিন্দু পুরোহিতদের টাকা দিতে চাইলে একটা উপযুক্ত সাম্মানিক দেওয়া দরকার। সেটা ১০ হাজারের আশেপাশে হওয়া উচিত। ৫০০ টাকা দিয়ে ইমামদের স্বাবলম্বী করা যায় না।'
ওই সভাতেই নাম না করে আইএসএফ বিধায়ককে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন,'সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগির জন্য কাউকে কাউকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস, বিজেপি আর সিপিএমের সঙ্গে জুটেছে আর এক নেতা। তাঁকে টাকা দিয়ে বড় নেতা করা হচ্ছে। ফুরফরা শরিফকে সম্মান করি। আমরা চাই না রাজনীতিতে ধর্মস্থান প্রবেশ করুক।' এনিয়ে নওশাদের প্রতিক্রিয়া,'উনি ডাবল ডাবল চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ফুরফুরা শরিফ, বেলুড় মঠ কেন রাজনীতি করতে পারবে না! সংবিধান কি বারণ করেছে? কেন ফুরফুরা শরিফকে রাজনীতির ময়দানে আসতে হল? আসলে সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি, জনমানসে মিথ্যাচার করেছে।'
তবে নাম না করে তাঁকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে আক্রমণ করেছেন সে ব্যাপারে পাল্টা দিতে চাননি ভাঙড়ের বিধায়ক। তাঁর কথায়,'আমার বা পার্টির নাম করে বলুন মুখ্যমন্ত্রী, তার পর আমি জবাব দেব।'