
করোনা (Corona) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আংশিক লকডাউনের পরিধি আরও বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। চালু হয়েছে আরও কড়া বিধিনিষেধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। ১৫ দিনের জন্য তা বলবৎ থাকবে। কেমন ছিল বিধাননগর এবং নিউটাউনের ছবি?
বিধাননগর, নিউটাউন ঘুরে দেখা গেল বেশ ফাঁকা। সেখানে রবিবার সকাল থেকে লোকজন খুব কম। ফাঁকা রাস্তা যেন বলে দিচ্ছে মানুষ মেনে নিয়েছে সরকারের সিদ্ধান্ত। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আর তা মেনে নিয়েছেন মানুষ।
এদিন সকাল ছটা থেকে শুরু হয়েছে নয়া বিধিনিষেধ। বিধাননগর, নিউটাউন উল্টোডাঙ্গা বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেল লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। ভিআইপি রোড বলতে বোঝায় একের পর এক গাড়ি, মানুষ। আবার কখনও যানজট।
আংশিক লকডাউন থাকায় মানুষের ভিড় যদিও গত কয়েক দিন কিছুটা কমই ছিল। তবে এদিন যেন পুরোটাই উধাও। রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া থেকে মানুষজন- নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পুলিশের টহলদারি। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ পিকেটিং রয়েছে। পুলিশ রাস্তায় বের হওয়া গাড়িতে তল্লাশি করছে। জানতে চাইছে কী দরকার তারা বাইরে বেরিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কড়া পথে রাজ্য। শনিবার বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করার কথা জানানো হয়েছে। যা কার্যকর হয়েছে ১৬ মে থেকে। থাকবে এক পক্ষকাল অর্থাৎ ১৫ দিন পর্যন্ত। নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় এ কথা জানিয়েছেন।
কী কী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-
রবিবার ভোর ৬টা থেকে ৩০ মে সন্ধে ৬টা এই বিধিনিষেধ চালু। সব স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক, আইটিআই, অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ থাকবে।
সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে চালু থাকবে আপৎকালীন পরিষেবা দেয়, এমন সরকারি এবং বেসরকারি অফিস।
স্পা, জিম, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। রেঁস্তোরাও বন্ধ থাকবে। মিষ্টির দোকান সাকল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বয়স্ক, রুগ্ন লোকের স্বাস্থ্যগত যোগাযোগ রয়েছে। ওষুধ, চশমার দোকান খোলা থাকবে।
উদ্যান, চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে। সংস্কারের কাজ কার যাবে। সব পরিবহণ বন্ধ থাকবে। লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে। প্রাইভেট গাড়ি, অটো বন্ধ থাকবে।
ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। সব শিল্প, কলকারাখানা, উৎপাদন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্তকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। খাবার সঙ্গে যুক্তকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
চা-বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। জুট মিলে ৩০ শতাংশ শ্রমিককে নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। ই-বাণিজ্য, হোম ডেলিভারি চালু।
ব্যাঙ্ক ১০টা থেকে ২টো। এটিএম চলবে। অফিসার-কর্মীরা বার বার আবেদন জানিয়েছে। শেষযাত্রা ২০-র বশি লোক নয়।
রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনোয় নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, আগের বার দেখা গিয়েছে, মানুষ সে সময় ভিড় করছিলেন।