'গরু পাচার হল কীভাবে? গরু কি পিঁপড়ে? বিএসএফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায়, তাহলে কেন গ্রেফতার হল না? কাস্টমস-বিএসএফ-কে ক্লিনচিট দেওয়া হল। তাদেরও ডাকা হোক। একতরফা কেন?' গরু পাচার মামলায় দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে পাল্টা এমনটাই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ফের ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললো তৃণমূল। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থাগুলি নিরপেক্ষ চেহারা হারাচ্ছে। অভিযুক্ত কেন্দ্রের শাসনকারী দলের না হলেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে যায়। আর তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের হলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেই।'
এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও তোলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমা বলেন, 'হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু যখনই তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন তদন্ত থেমে গেল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা কর্তাও বলেছেন গ্রেফতার হওয়ার আগে টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু তাঁকে একটা জিজ্ঞাসাবাদ নেই। সংস্থাগুলি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ চেহারা হারালে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে যায়।' এক্ষেত্রে আগামিকাল ও পড়শু ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে দলের যুব ও ছাত্র শাখা দুপুর ৩টের সময় মিটিং মিছিল করবে বলেও জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
গোরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে এদিন সকালেই বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছান সিবিআই কর্তারা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন - অনুব্রতর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? TMC বলল, 'কয়েক ঘণ্টা তো হয়েছে...'