বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভাঙা বিতর্কে প্রথম বার মুখ খুললেন পুত্র সন্দীপ রায়। বৃহস্পতিবার bangla.aajtak.in-কে দেওয়া Exclusive প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙা বিতর্কে মুখ খুলেছেন পরিচালক সন্দীপ। এদিনই বিতর্কের মুখে বাংলাদেশ সরকার বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, যে বাড়ি ভাঙা হয়েছে, সেটির সঙ্গে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের ভিটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই আবহে সন্দীপ জানিয়েছেন তাঁদের আদি বাড়ির কথা।
কী বলেছেন সন্দীপ রায়
বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি ভাঙা-বিতর্কে bangla.aajtak.in-কে সন্দীপ বলেন, 'দেখুন, আমরা কোনওদিন ওই বাড়িতে যাইনি। বাবাও যাননি।আমিও যাইনি। কাজেই ওই ভাবে বলতে পারব না।সংবাদমাধ্যমে শুনলাম সবটা।'
যে বাড়িটি ভাঙা হয়েছে, সেটি কি রায় পরিবারের? সত্যজিৎ-পুত্র বলেন, 'আমাদের আদি বাড়ি ছিল মসুয়া গ্রামে। মসুয়া গ্রামটা ওখানেই রয়েছে। এখানকার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা কোনও বাড়িতেই যায়নি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা খবরে জানলাম। যা শুনেছি সংবাদমাধ্যমে।'
কী জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার
সত্যজিতের বাড়ি ভাঙা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশে ইউনূস সরকার দীর্ঘ বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, যে বাড়িটি ভাঙা হয়েছে, সেটির সঙ্গে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের ভিটের কোনও যোগ নেই। বাড়িটি বর্তমানে সরকারের অধীনে। বাড়িটির ইতিহাসের কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাড়িটি তৈরি করেছিলেন এলাকার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। যে বাড়িতে ভাঙার কাজ চলছে, সেই বাড়িটির পাশেই ছিল ওই জমিদারের বাংলোবাড়ি 'শশী লজ'। শশীকান্তের জমিদারির কাজকর্ম যাঁরা দেখাশোনা করতেন, তাঁদের জন্য পাশের ওই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় আসে বাড়িটি। ওই বাড়িটি শিশু অ্যাকাডেমিকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, বাংলাদেশ সরকার বিবৃতিতে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের ভিটের কথাও জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, ওই এলাকায় বাড়িটির সামনের রাস্তার নামকরণ হয়েছে হরিকিশোর রায়ের নামে। হরিকিশোর সত্যজিতের পিতামহ তথা প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীকে দত্তক নিয়েছিলেন। ওই রাস্তাতেই রায় পরিবারের একটি বাড়ি ছিল। তবে বহু বছর আগে সেই বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে বহুতল তৈরি করা হয়েছে।
হরিকিশোরের ওই বাড়িটি কি তা হলে সত্যজিতের আদি বাড়ি? এই প্রসঙ্গে সন্দীপ বলেছেন, 'না, আমার কাছে সেরকম কোনও খবর নেই। আমি যতদূর জানতাম, মসুয়া গ্রামেই আমাদের আদি বাড়ি ছিল।'