scorecardresearch
 

অভিষেক-দিলীপ দুই এলেন! মুকুল কোনদিকে বোঝা মুশকিল

রাজ্য রাজনীতিতে তিনি কখন কী পদক্ষেপ নেন, তা বোঝা মুশকিল। ২০১৭ সালে তৃণমূলের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে মুকুল রায়ের। ৩ নভেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু এবছর গোটা নির্বাচন পর্ব থেকে তেমন সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ
হাইলাইটস
  • মুুকুলের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে জল্পনা
  • বুধবার হাসপাতালে আসেন অভিষেক
  • কথা হয় শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে

রাজ্য রাজনীতিতে তিনি কখন কী পদক্ষেপ নেন, তা বোঝা মুশকিল। ২০১৭ সালে তৃণমূলের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে মুকুল রায়ের। ৩ নভেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু এবছর গোটা নির্বাচন পর্ব থেকে তেমন সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেও গিয়েছেন। ফল বের হওয়ার একমাস পরেও তেমন ভাবে বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না মুকুল রায়কে। ফল বেরনোর কয়েকদিন পরেই মুকুলের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে একটি জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ট্যুইটের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। 

হাসপাতালে অভিষেক

বুধবার বিকালে হাসপাতালে অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে আসেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলর অঘোষিত নম্বর ২ আচমকা মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে আসা স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িয়েছে জল্পনা। যদিও সেই সময়ে হাসপাতালে ছিলেন না মুকুল রায়। ছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে যান অভিষেক। এর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও মুকুল রায়ের স্ত্রী ৩ সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ৩ সপ্তাহে কোনও বিজেপি নেতাকে হাসপাতালে দেখা যায়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভ্রাংশ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্টও করেছিলেন শুভ্রাংশু। তিনি লিখেছিলেন, নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা না করে আত্মসমীক্ষা করা দরকার। 

আরও পড়ুন, অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রী, হঠাত্‍ হাসপাতালে দেখতে গেলেন অভিষেক

সাইডলাইনে মুকুল?

জানা গিয়েছে,ভোটপর্ব থেকে বিজেপি প্রথমসারির নেতাদের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মুকুল রায়ের। সাধারণত দলের সংগঠন দেখভাল করার কাজেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন মুকুল। এই জন্য বহু বছর তিনি নির্বাচনে লড়েননি। কিন্তু তাকে একটি বিধানসভায় প্রার্থী ঘোষণা করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা নির্বাচন পর্বে মুকুলকে বড় কোনও আসনে প্রচার করতেই দেখা যায়নি। পাশাপাশি এটাও শোনা গিয়েছিল, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যে ভাবে ভোট পরিচালনা করছেন তাতে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন মুকুল। তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মত মানাই হয়নি বলে জানা গিয়েছিল। তারপর থেকেই তেমন সক্রিয় ভূমিকায় আর দেখা যায় না মুকুল রায়কে। আবার অনেকের মতে, বিজেপিতে শুভেন্দু অতিরিক্ত গুরুত্ব পাওয়ায় কিছুটা সাইডলাইনে চলে গিয়েছেন মুকুল।

Advertisement

বাড়ছে জল্পনা

আচমকা মুকুল পত্নীকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেকের আগমন স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে অনেকটাই। আবার অভিষেক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন দিলীপ। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যই সেখানে গেলেন দিলীপ? যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, এই সময়ে সবার মনোবল বাড়ানো দরকার। কষ্টের সময়ে সবার একসঙ্গে থাকা দরকার। পূর্ব পরিচিত, সেই সূত্রে দেখা করতেই পারেন। 

Advertisement