আরও একটা বছর কেটে গেল। এখনও চাকরি পাননি শিক্ষকতার পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থীরা। বছরের প্রথম দিনও তাঁদের কাটছে ধর্নামঞ্চে। নতুন বছরেও কি নিয়োগ হবে? অন্ধকারে চাকরিপ্রার্থীরা। গোটা শহর যখন উৎসবমুখর তখন পরিবারের পাশে নেই চাকরিপ্রার্থীরা। নিজেদের দাবির প্রতিবাদে বিক্ষোভ জারি রেখেছেন তাঁরা।
'প্রতিশ্রুতি নয় চাকরি চাই'— এই দাবি নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বয়স বাড়ছে। নতুন বছরে নিয়োগ হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। নতুন বছরের উদযাপনে নেই তাঁরা। তাঁদের আত্মপ্রত্যয় থেকে এখনও টলানো যায়নি। সরকারি আশ্বাস পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু আশ্বাসই সার! এখনও ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। নববর্ষের দিনেও তাঁদের ঠাঁই ধর্নামঞ্চে।
প্রতিশ্রুতি নয় চাকরি, নিয়োগ চাই- প্ল্যাকার্ডে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। দূরদূরান্ত থেকে বহু চাকরিপ্রার্থী। নতুন বছরে পরিবারের পাশে নেই তাঁরা। পরিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে রয়েছেন। চোখেমুখে হতাশা, যন্ত্রণার ছবি। নতুন বছরের উদযাপন দূর আকাশের তারা। উৎসবমুখর শহরের আনন্দ স্পর্শ করেনি তাঁদের। বাংলাজুড়ে উৎসবের মেজাজ। তখন অবস্থান বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩৬ দিন ধরে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির তলায় ধর্নামঞ্চে তাঁরা আন্দোলন করছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্কুলে ছাত্র বেশি শিক্ষক নেই। সেই সব শূন্যপদে নিয়োগ করা হোক।
প্রায় দুবছর ধরে আন্দোলন চলছে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের। ৬৫৮ দিনে পড়ল তাঁদের অবস্থান। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তাঁরা আন্দোলন করছেন। এক বিক্ষোভকারী জানান,'আমরা সমাধান চাই। সরকার আমাদের হয়ে উদ্যোগ নিক। অযোগ্যদের বাদ নিয়ে আমাদের নেওয়া হোক। রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধি উদয় হোক। আমাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।' আন্দোলনের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তা-ও ধর্নামঞ্চ থেকে সরানো যায়নি। ঠান্ডার মধ্যেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ শিশু কোলে নিয়েও নিয়োগের দাবিতে ধর্নামঞ্চে সামিল হয়েছিলেন। দুবছর তো হতে চলল, আরও কত দিন? এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য,সরকারি তাঁদের নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে শীত কি জাঁকিয়ে না স্বাভাবিক? জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস