SSC Sting Operation aajtak Bangla : রাজ্যে SSC দুর্নীতি কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য এল Aajtak Bangla-র হাতে। Aajtak Bangla- র স্টিং অপারেশনে এই তথ্য সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত, SSC দুর্নীতি মামলায় ১০ বার CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপর ৫টি FIR হয়। তার ভিত্তিতে প্রায় প্রায় এক হাজার জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গরমিল ছিল বলে অভিযোগ।
এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ED। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে এই টাকা তোলা হয়েছিল।
চমকে দেওয়ার মতো যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে :
১) আদালত বরখাস্তের নির্দেশ দিলেও কিছুজন এমনও আছেন যাঁরা এখনও চাকরি করছেন। এমনই একজন সফিকুল হক। উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালপুরের বাসিন্দা তিনি। ২০২০ সালে গোপালপুর পপুলার অ্যাকাডেমি স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান। আজও সেখানে চাকরি করছেন তিনি।
RTI অনুসারে,সফিকুল হকের Rank ছিল ১২১। তাঁর নাম OBC প্রার্থীদের তালিকায় ওয়েটিংয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁর নাম সুপারিশ করে। এক মাসের মধ্যেই তিনি নিয়োগপত্র পেয়ে যান।
আরও পড়ুন : Exclusive: এভাবেই পশ্চিমবঙ্গে SSC নিয়োগে কারচুপি হয়েছিল..
২) ভালো Rank করেও চাকরি পাননি যোগ্য প্রার্থী। এমন তথ্যও জানা গেছে Sting Operation-এ। প্রার্থী তালিকার ১২১ নম্বরে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন সফিকুল হক। অথচ ইলিয়াস ৯৫ Rank করেও চাকরি পাননি। তিনি এখনও বেকার। ইলিয়াস বিশ্বাস বলেন,'যাঁর যোগ্যতা আমার চেয়ে কম ছিল। তিনি চাকরি পেয়েছেন। তবে আমি এখনও পাইনি। লড়াই করে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়।'
৩) বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য চাকরি দেওয়ার পর সেই শিক্ষক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনই একজন এসকে ইনসান আলি। তাঁর RANK কম থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠার পর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ইনসান আলির দাবি, তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন। আর সেই আন্দোলন থেকে তাঁকে নিরস্ত করতে রাজ্য সরকার তাঁকে চাকরি দেয়। পরে সেই চাকরি চলেও যায়।
৪) জমি বেচে সেই টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তবে চাকরি চলেও যায় এমন ঘটনাও উঠে এসেছে স্টিং অপারেশনে। হুগলি জেলার একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য যেমন জানালেন, তাঁদের স্কুলে ছিল চন্দ্রিমা দেব ও সুমনা নিয়োগী নামে দুজন চাকরি করতেন। দুজনেই চাকরি পেতে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। যদিও পরে আদালতের হস্তক্ষেপে চাকরি চলে যায়।
৫) টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিতে অবাধে চলছে সিন্ডিকেট রাজ- এই দাবি করেছেন সুশান্ত ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভূমিকা সন্দেহজনক। যদিও তিনি ওই শিক্ষক সমিতিরই একজন। তবে তাঁর দাবি, এই শিক্ষক সমিতি একটি সিন্ডিকেটের মতো কাজ করে।