কোনটা দলীয়, কোনটা সরকারি বৈঠক বুঝে উঠতে পারছেন না, মমতার মহুয়া-বার্তায় কটাক্ষ সুকান্তর

বুধবার নদিয়ায় সরকারি আধিকারি, বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মমতা।

Advertisement
মহুয়াকে ধমক মমতার, সুকান্তের কটাক্ষ, দল-সরকার গুলিয়ে ফেলছেনভিডিয়োর স্ক্রিনশট
হাইলাইটস
  • মহুয়াকে ধমক মমতার
  • সুকান্তর কটাক্ষ
  • মহুয়ার পাশে শুভেন্দু

বৃহস্পতিবার নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে দলের সা্ংসদ মহুয়া মৈত্রকে ধমক দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কি দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলতে পারেন? শুক্রবার এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়,''প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় বৈঠক যে আলাদা সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী।''

পরের পর প্রশাসনিক বৈঠকে দলের বিধায়কদের বকা-ঝকা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে মহুয়াকে দু-চার কথা শুনিয় দিলেন। যা নিয়ে বিরোধীরা বলছেন, নবান্নকে তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে ছেড়েছেন মমতা। যোগদান, পিকের সঙ্গে বৈঠক সারছেন রাজ্যের সচিবালয়ে। এবার সরকারি টাকায় প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী না তৃণমূল নেত্রী হয়ে উঠলেন। এ দিন সুকান্ত বলেন,''দলের গোষ্ঠী কোন্দল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক তোলা হচ্ছে। এটা কি প্রশাসনিক বৈঠক হল? বাংলার মানুষ এই ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কে বিজেপি, কে তৃণমূল ভাগ করা হলে কি আদৌ প্রশাসনিক বৈঠক হতে পারে? তৃণমূলের টাকায় বৈঠক হয়নি। হয়েছে জনগণের টাকায়।''

আরও পড়ুন- ট্রেন টিকিটে সিনিয়ার সিটিজেনরা ছাড় পাবেন? রেলমন্ত্রী জানালেন...

মহুয়ার পাশে শুভেন্দু


মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,''এই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের অপমান করে ঔদ্ধত্য দেখান। আমার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে এটাও একটা কারণ। মানুষের আত্মসম্মান আছে। লাইভে পিতা-মাতা দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বোধবুদ্ধি নেই।"

মহুয়াকে কী বলেছিলেন মমতা?
     
বুধবার নদিয়ায় সরকারি আধিকারি, বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মমতা। ওই বৈঠকে মঞ্চে ছিলেন মহুয়া মৈত্র। সভার শেষ লগ্নে দলের সাংসদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,''মহুয়া এখানে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটালে অথবা পেপারকে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে এটাও মেনে নেওয়াটা ঠিক নয়। যখন ইলেকশন হবে তখন পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে কে লড়বে না। সুতরাং এখানে কোনও মতানৈক্য় থাকা উচিত নয়।''

Advertisement

আরও পড়ুন- 'দুয়ারে' পুরভোট! কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দড়ি টানাটানি বিজেপি আর কমিশনের

POST A COMMENT
Advertisement