scorecardresearch
 

Covid আক্রান্ত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে কাঠগড়ায় রবীন্দ্রভারতী

দমদমের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর অভিযোগ,তাঁর সংক্রমণের কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফোনে জানায় এ বিষয়ে কিছু করার নেই। তাঁকে আলাদা করে কোনও সুবিধা দেওয়া যাবে না।

Advertisement
রবীন্দ্র ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঊষসী চক্রবর্তীর। রবীন্দ্র ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঊষসী চক্রবর্তীর।
হাইলাইটস
  • করোনা আক্রান্ত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠানোর অভিযোগ।
  • কাঠগড়ায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
  • পরে ছাত্রীর কাছে দুঃখপ্রকাশ।

কোভিড আক্রান্ত হলেও ক্যাম্পাসে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করলেন ঊষসী চক্রবর্তী নামে এক ছাত্রী। তাঁর দাবি, সংক্রমণের কথা শোনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফোনে জানায়, এ বিষয়ে কিছু করার নেই। তাঁকে আলাদা কোনও সুবিধা দেওয়া যাবে না। আজ আসতে না পারলে ভর্তিপ্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়বেন। ফেরত দেওয়া হবে জমাকৃত ১০ হাজার টাকা।

দমদমের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বক্তব্য, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তরে ভর্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। ভর্তির ফি হিসেবে অনলাইনে ১০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছেন। গতকাল করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শরীরে রয়েছে উপসর্গও। এমতাবস্থায় আজ ভর্তির জন্য নথি যাচাইয়ে তাঁকে ক্যাম্পাসে আসতে বলা হয়। করোনা আক্রান্ত জানানো হলেও অনড় থাকে কর্তৃপক্ষ। 

অগত্য়া বাধ্য হয়ে মুখে মাস্ক দিয়ে সল্টলেক ক্যাম্পাসে হাজির হন ঊষসী। অভিযোগ, যাচাইয়ের সময় আরও কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়। বাড়ি থেকে সেগুলি নিয়ে আসতে বলা হয়। তখন ওই ছাত্রী জানান, তিনি কোভিড আক্রান্ত। বারবার গণপরিবহণে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। তা শুনে ক্ষমা চায় কর্তৃপক্ষ। বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। ঊষসী বলেন,''কোভিড আক্রান্তদের নিভৃতবাসে থাকতে বলা হচ্ছে। সেই তো বেরোতে এল। আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন,তাঁরা সংক্রামিত হলে দায় রবীন্দ্র ভারতীর।''    

আরও পড়ুন-মমতার পদবি ভুললেন অ্যাঙ্কর! 'PM-এর জন্য এসেছি,' ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী 

রবীন্দ্রভারতীর সল্টলেক ক্যাম্পাসের অধিকর্তা আশিসকুমার দাস বলেন,''এটা আমি জানতাম না। গোটাটাই আমার অজ্ঞাতসারে হয়েছে। আগে জানলে কখনই ওই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে আসতে বলতাম না। আজ ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে আসার পর আমি বিষয়টি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যাবতীয় নথি পাঠাতে বলি। তাঁকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দিই। আমি আশ্বস্ত করছি, মানবিকতার দিক দিয়ে বিবেচনা করে তাঁর পাঠানো সফটকপির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ভর্তি নিয়ে উৎকণ্ঠার প্রয়োজন নেই।''

Advertisement

আরও পড়ুন- ৪ থেকে ৫ লক্ষ হবে একদিনে! COVID থার্ড ওয়েভ শীর্ষে কবে?

Advertisement