চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বিতর্ক এড়ানো গেল না। শুরুতেই বিপত্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পদবি ভুল করলেন সঞ্চালিকা। তাতে বেশ ক্ষুব্ধই হলেন মমতা। বললেন,''অনেক ধন্যবাদ সঞ্চালিকাকে। আমার পদবি ভুলে গেলেন। হয়তো টেনশনে ভুল করেছেন।'' তাঁর সংযোজন,''কলকাতার অনুষ্ঠান। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য এসেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দু'বার ফোন করেছিলেন।''
এর পর মমতা স্মরণ করিয়ে দেন, এই হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণে আর্থিক অংশীদারিত্ব রয়েছে রাজ্যেরও। তিনি বলেন,''হাসপাতালের উদ্বোধন আগেই করে দিয়েছি। কোভিডের সেন্টারের দরকার ছিল। রাজারহাট চিত্তরঞ্জন ক্যাম্পাসকে কাজে লাগিয়েছিলাম। ২৫ শতাংশ অর্থ আমরাও রাজ্য থেকে দিয়েছি। রেকারিং খরচও সরকার দিচ্ছে। ১১ একর জমিও দিয়েছি আমরা। এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।''
রাজ্যের স্বাস্থ্যের হাল কীভাবে ফিরিয়েছেন তার পরিসংখ্যানও এ দিন দেন মমতা। বলেন,''আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যের হাল খারাপ ছিল। সরকার আসার পর ৪৩টি মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। ৩৫০ শিশুবিভাগ তৈরি করেছি। প্রতিটি সাব ডিভিশনে একটি করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রাতিষ্ঠানিক সন্তান ভূমিষ্ঠ করার হার ছিল ৬৫ শতাংশ। সেটা ৯৯ শতাংশ করেছি। পরিকল্পনা করে রাজ্যকে পোলিওমুক্ত করেছি।''
তিনি আরও বলেন,''আগে স্বাস্থ্যের হাল খারাপ ছিল। সরকার আসার পর ৪৩টি মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। ৩৫০ শিশুবিভাগ তৈরি করেছি। প্রতিটি সাব ডিভিশনে একটি করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রাতিষ্ঠানিক জন্মের হার ছিল ৬৫ শতাংশ। সেটা ৯৯ শতাংশ করেছি।'' পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে ডাক্তারির আসন বাড়ানোর আর্জিও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- 'ভাই ভেঙেছে কোভিড রুল', জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
হাসপাতালের উদ্বোধন করে এ দিন মোদী বলেন,''এতে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের সুবিধা হবে। অনেক গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার সহায়তা পাবে। ক্যান্সারের চিকিৎসা, সার্জারি ও থেরাপি আরও সুলভ হবে।''
Prime Minister Narendra Modi inaugurates the Second Campus of Chittaranjan National Cancer Institute in Kolkata via video conferencing pic.twitter.com/2Aum41HLcv
— ANI (@ANI) January 7, 2022
ভারতে ১৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের টিকাকরণ দিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন বছর। আর আজ ভারত ১৫০ কোটি ডোজের ঐতিহাসিক মুহূর্ত অর্জন করেছে। ১ বছরের কম সময়ে এই পরিসংখ্যান বিশ্বের তাবড় দেশগুলির কাছেও বিস্ময়কর। এটা ভারতের নতুন ইচ্ছাশক্তি ও ক্ষমতার প্রতীক। অসম্ভব সম্ভব করাই এই ভারতের লক্ষ্য।''
আরও পড়ুন- ১১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ, কত দিন?