প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। ৭৫ বছর বয়সে জীবনাবসান। এসএসকেএম-এই বেশ কয়েকদিন ধরে ভর্তি ছিলেন সুব্রতবাবু। বসানো হয়েছিল স্টেন্টও। আগামিকাল হাসপাতাল থেকে ছুটি হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগে দীপাবলির রাতেই সব শেষ। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে রাত্রি ৯টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিকে খবর পেয়েই বাড়ির পুজো ছেড়ে এসএসকেএম-এ পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ দলীয় নেতানেত্রীরা। দীর্ঘদিনের সহকর্মীর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " আমার জীবনে অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রত দা'র মৃত্যুটা ভীষণ বড় দুর্যোগ। সুব্রত দা'র মতো এমন মানুষ, আর হবে কি না সন্দেহ আছে। আমি গোয়া থেকে ফিরেই প্রথমে হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে কথা হল, বলল 'আমি আবার জেলায় জেলায় যাব'। আজ সন্ধ্যেবেলা এখানকার প্রিন্সিপাল আমার বাড়িতে গেছিলেন, বললেন 'কাল ছেড়ে দেওয়া হবে।' তারমধ্যেই বিরাট হার্ট অ্যাটাক। আলোর দিনে এমন অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি"।
এদিন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার আরও এক সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন রাত্রি ৯টা ২২ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। শৌচাগার থেকে ফেরার সময়ই ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের প্রয়াণে শোকের ছায়া বঙ্গ রাজনীতিতে। গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধীরাও।
শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে রয়েছে তাঁর মরদেহ। সকাল ১০টা থেকে মরদেহ রাখা হবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা যাবে প্রয়াত মন্ত্রীকে। দুপুর ২টোর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভায়। তারপর দেহ যাবে তাঁর বাড়িতে। শেষে কেওড়াতলা মহা শ্মশানে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শুক্রবার রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।