ভোররাতে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Super Cyclone Mocha Update)। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, স্থলভাগের কাছাকাছি আসার পর কিছুটা কমবে মোকার গতিবেগ। এরপর তা চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। আজ দুপুরের দিকে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোকা (Super Cyclone Mocha Landfall Time)।
মোকার তাণ্ডবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যার জেরে ওই দুই দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকবিলার প্রস্তুতি। বাংলাদেশের কক্স বাজারের কাছাকাছি ল্যান্ডফল হওয়ার কথা মোকার। এখনও পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে প্রায় ২ লক্ষ এবং চট্টগ্রাম থেকে ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীজের সমুদ্র যাত্রার ওপরে আনা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। চট্টগ্রামের বন্দরেও আপাতত কাজ বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মায়ানমারেও রাখাইন উপকূল এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের। বেশকিছু বিমান চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি এই রাজ্যের ওপর পড়বে না বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। তবে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় আজ আকাশ মেঘলা থাকবে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কাল থেকে ফের রাজ্যে আবহাওয়া বদল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। তবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই আগামিকাল থেকে শুরু হতে পারে বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড় এই রাজ্যে সরাসরি তাণ্ডব চালানোর পূর্বাভাস না থাকলেও, আয়লা বা আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা থেকে এবারেও সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রশাসন। সুন্দরবন অঞ্চলের থানা এলাকাগুলিতে মানুষকে সচেতন করতে চালান হচ্ছে মাইকিং। একইসঙ্গে ওষুধপত্র, শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা শুভাপ্রসন্নর, 'The Kerala Story' নিয়ে বরফ কি গললো?