শুভেন্দু অধিকারীর কম্বলদান অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা এবং হুড়োহুড়িতে মৃত্যু হয়েছে শিশু-সহ ৩ জনের। গোটা ঘটনার জন্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,'আইন মানছেন না শুভেন্দু অধিকারী। বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এর জন্য দায়ী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।' তাঁর প্রশ্ন, কোন আইনে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে? কুণালের দাবি, এতে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন বিরোধী দলনেতা। আইন মানছেন না।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে কার্যত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন কুণাল। তাঁর কথায়,'বিচার ব্যবস্থা ও বিচারপতিকে আমরা সম্মান করি। সাধারণ মানুষ বলেন হাইকোর্টে যাব। আমিও আমার আইনজীবীকে বলি, হাইকোর্টে পিটিশন দাও বা চলো সুপ্রিম কোর্টে যাই। একমাত্র শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়, আমি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাব। কেন, কীসের জন্য? কোন কারণে বিচারপতির নাম গুরুত্ব পায়?'
কেন এমন অভিযোগ কুণালের? তাঁর ব্যাখ্যা, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দুর উপর সমস্ত এফআইআর-কে সুরক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি যে অপরাধ শুভেন্দু করেনি, পরের দিন তিনি কী করবেন জানেন না। তা অনুমান করে বলছেন, এফআইআর করা যাবে না। এটা কোন দেশের আইন? আগামিকাল কী করবে জানেন না, কীভাবে সুরক্ষাকবচ দিচ্ছেন? কোর্টের অনুমতি নেওয়ার কথা বলছেন। কোনও একটা জায়গায় তাৎক্ষণিক বিপদ ঘটিয়েছেন তখন কি কোর্টের অপেক্ষায় থাকতে হবে? এটা কোনও আইন? শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বেপরোয়া মানসিকতার জন্ম দিচ্ছেন- আইন মানব না, আমার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না। ধারাবাহিকভাবে পুলিশ অফিসারদের নাম করে করে অপমান করছেন।'
বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালী তিওয়ারি। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তেই কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। চরম বিশৃঙ্খলায় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। আহত বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন- 'মানবতার অপমান,' কম্বল বিতরণ কাণ্ডে শুভেন্দুকে নিশানা দিলীপের