scorecardresearch
 

Tathagata Roy : বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ, তাই সব সুবিধা নিয়েও ভারতের হারে উচ্ছ্বসিত; আক্রমণ তথাগতর

বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার হারের পর উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের একাংশ। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা গবেষক তথাগত রায়।

Advertisement
তথাগত রায় তথাগত রায়
হাইলাইটস
  • বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার হারের পর উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের একাংশ
  • তা নিয়ে মুখ খুললেন তথাগত রায়

বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার হারের পর উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের একাংশ। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা গবেষক তথাগত রায়। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ। তারা ভারতের থেকে সব সুবিধে নেয়। আর ভারতের হারে উচ্ছ্বসিত হয়। এর কারণ হিন্দু বিরোধিতা।' 

তথাগত রায়ের কথায়, 'বাংলাদেশের এই উচ্ছ্বাস থেকে প্রমাণিত হয়, সেখানে যে ধর্ম সংখ্য়াগরিষ্ঠ তারা অন্য ধর্মকে সহ্য করতে পারে না। ঘৃণা করে। বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে হিন্দু বিরোধিতার চাষ হচ্ছে। অথচ সেই বাংলাদেশই বিপদে পড়লে ভারতের কাছে হাত পাতে। সেই দেশের মানুষ, অকাজ করলে এখানে চলে আসে, চিকিৎসার জন্য ভারতের উপর নির্ভর করে থাকে।' 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তথাগত বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য়ে বাংলাদেশ জেতে। মুক্তিবাহিনীর যারা ছিল তারা তো লাঠি হাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। ভারত পাশে না দাঁড়ালে পারত  জিততে? ভারত সেই সময় অনায়াসে বাংলাদেশকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারত। কিন্তু ভারত জানত, ধর্মান্ধরা মাথাচাড়া দেবে। তাতে ক্ষতি হবে। ১৯৭৫ সালের পর সেটাই হল। বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের রাজত্ব কায়েম হল। ভারতের হারে বাংলাদেশিদের যে উচ্ছ্বাস তো তারই দৃষ্টান্ত।'  

আরও পড়ুন

কিন্তু কেন বাংলাদেশের একাংশের এই ভারত বিরোধিতা? তিন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, 'এর কারণ বাংলাদেশের অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা রয়েছে। তারা যে ভারতের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধে জিতেছে এটা অনেকে মেনে নিতে পারেনি আজও। তাই সেখানে এখনও ভারত বিরোধী চর্চা হয়।' 

বাংলাদেশের এক কূটনীতিকও এক সময় তাঁকে জানিয়েছিলেন সেই দেশে হিন্দুবিরোধী চর্চা বাড়ছে। এমনটাই দাবি করেন তথাগত রায়। তাঁর কথায়, 'বাংলাদেশের এক উদারমনস্ক কূটনীতিক আমাকে বলেছিলেন, সেই দেশে হিন্দু বিরোধী চর্চা বাড়ছে। আমি ভারত সরকারকে সেই কথা জানিয়েছিলাম। সুষমা স্বরাজকেও জানিয়েছিলাম। জয়শংকরকে বলার ইচ্ছে ছিল। তবে সুযোগ পাইনি।'  

Advertisement

প্রসঙ্গত, ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছিল। সেখানে জমায়েত করেছিল কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী। ভারতের হারে তারা আনন্দ প্রকাশ করে। এমনকী নাচানাচি করতেও দেখা যায় বাংলাদেশের সেই সব ছাত্র-ছাত্রীদের। একজন বলেছিলেন, 'ভারত হেরেছে বেশ হয়েছে। আমরা এটাই চাইছিলাম। আমরা ভারতকে সহ্য করতে পারি না।' আর একজনের বলেছিলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা চার মারছে আর আমার মনে হচ্ছে যেন শাকিব, শান্তরা চার মারছে। আমার প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।'

Advertisement