প্রতিটি ২১ জুলাইয়ের সভার শেষে টানা স্লোগান দিতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম আমলের স্লোগানে আসত, কোচবিহার থেকে রায়না। আর কর্মীরা ফিরিয়ে দিতেন এই 'সিপিএম আর না।' পরিবর্তনের জমানায় নেত্রীর স্লোগানের অন্ত্যমিলে আসে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সেখানেই বাধল গোল। নেত্রী বললেন, 'রামকৃষ্ণ।' নেত্রী-কর্মীরা বলে উঠলেন,'তৃণমূল'। তার পর...
সভার শেষ লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান দিতে থাকেন, শ্রমিক-কৃষক, ভাইবোনেরা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, চাকরি দেবে, স্মার্ট কার্ড, আদিবাসী ভাতা, জয় বাংলা। প্রতিবার কর্মীদের সোচ্চার প্রতিধ্বনি 'তৃণমূল।' স্লোগানের শেষে মমতার মুখে এল,'রামকৃষ্ণ'। এবারও সবাই চেঁচিয়ে উঠলেন,'তৃণমূল।' সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে দেন নেত্রী। বলেন,'রামকৃষ্ণ তৃণমূল বলছি না। ওঁর কথাগুলি আমি বিশ্বাস করি।'
রাজ্যের ধার্মিক তীর্থস্থলগুলির উন্নয়নে তাঁর সরকার কী করেছে তা-ও শুনিয়ে দেন মমতা। বলেন,'শুনুন স্বামী বিবেকানন্দ, নিবেদিতার বাড়িটা আমি করে দিয়েছি। মনে রাখবেন দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক করে দিয়েছি। অনুকূল ঠাকুরকে আমরা জায়গা দিয়েছি। আমরা বিদ্যাসাগরের এলাকার উন্নতি করছি। নেতাজির নামে জয়বিন্দ কর্মসূচি বানিয়েছি। এমন কোনও জায়গা নেই উন্নয়ন করিনি- তারকেশ্বর, ফুরফুরা শরিফ, ব্যান্ডেল চার্চ, চন্দনগনর, কপালেশ্বরী, বানারহাট, জল্পেশ মন্দিরের উন্নয়নও করে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন- মুড়িতেও GST! মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও: মমতা