এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহত দুই মহিলা একশো দিনের টাকা পাননি। বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় যোগ দিয়েছিলেন। এর দায় এড়াতে পারেন না নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার এমন দাবি করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান,'যে দু'জন মহিলা মারা গিয়েছেন, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করতেন। তাঁরা জবকার্ড হোল্ডার। ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন না বলে পেট চালাতে বলে বাজি কারখানায় কাজ নিয়েছিলেন। এর দায়-দায়িত্ব কার?'
এ দিন অভিষেক বলেন,'কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না ওই দু'জন মহিলা। তাই বাজি কারখানায় কাজ নিয়েছেন। এর দায়-দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এড়িয়ে যেতে পারেন না। ১০০ দিনের টাকা দিলে দুর্ঘটনা ঘটলেও মানুষের প্রাণ যেত না। এই দু'জনকে হারাতাম না! বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। আমি মনে করি, ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকলে পদত্যাগ করা উচিত। এই দুজন মহিলা বেঁচে থাকতে পারত, একশো দিনের টাকা পেলে।' তিনি আরও বলেন,'২ কোটি ৬৫ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা আটকে রেখেছে। নরেন্দ্র মোদী এসব কথা ভাবে না। আমাদের সরকার মানবিক। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে হাজার টাকা দিই। আর আধার-প্যান সংযুক্ত করে ১০০০ টাকা কেড়ে নিচ্ছে মোদী সরকার।'
আরও পড়ুন- ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা অভিষেক-কুন্তলের, নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মারা যান অন্তত ৮ জন। আহত হন বেশ কয়েক জন। বিস্ফোরণের পর এলাকা ছেড়ে পালান বেআইনি কারখানার মালিক ভানু বাগ। বৃহস্পতিবার ওড়িশার হাসপাতালে মেলে ভানুর খোঁজ। তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি। শরীরের অনেকখানি অংশ পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতালেই নজরবন্দি করা হয়েছে চিকিৎসাধীন ভানুকে।
এদিকে এনআইএ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার আদালত জানিয়েছে, আপাতত মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে তদন্ত করতে পারে এনআইএ। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।