বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডির দফতর ছাড়লেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। বিকেল ৪টে ২০ মিনিট নাগাদ তিনি বেরিয়ে আসেন। ইডি জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে রুজিরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। গাড়িতে হাতজোড় করে বেরিয়ে যান অভিষেক-জায়া।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রুজিরার। তবে তিনি ইডির দফতরে পৌঁছন বেলা ১২টা ৩০মিনিটে। রুজিরা যাওয়ার আগে থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল বিধাননগর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, রুজিরাকে ডিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
সোমবার সকাল ৭টায় দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন রুজিরা। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। তার পর বিমানবন্দরে ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক-পত্নী। অভিবাসন দফতর সূত্রের খবর,কয়লা পাচারের একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল ইডি। সে কারণেই রুজিরার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। তার পরই রুজিকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দেয় ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস নিয়ে সোমবার রাতেই অভিষেক বলেছিলেন,'এই দেশে আইনের শাসন নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানে না। আমার স্ত্রী যে যাচ্ছেন তা ৩ জুন জানানো হয়েছিল। খারাপ অভিসন্ধি হলে জানাতাম না। সমন দেওয়ার থাকলে ৩ বা ৪ তারিখ পাঠান। মেলে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ৫ থেকে ১৩ তারিখ দেশে থাকবে না। গত জুন মাসে ডাকা হয়েছিল। প্রায় ১২ মাস ডাকেনি। জনজোয়ারকে বিঘ্নিত করতে মানসিক হয়রানি করছে। আমার মেরুদণ্ড সোজা। আমার ছোট বাচ্চা ৩ বছরের ছেলে, ৯ বছরের মেয়ে, তাদের অপরাধ কী?'
ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন,'ও একটা পঞ্জাবি মেয়ে। ওর মা খুব অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন দেওয়া ছিল। যদি কখনও বাইরে যায় ইডি-কে জানাতে বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ইডি-কে জানিয়েছিল অনেকদিন আগেই। তখন ইডি বলতে পারত, তুমি যেও না। কিন্তু এয়ারপোর্টে গিয়ে হাতে নোটিস ধরানো যে ৮ তারিখে তুমি এসো। অমানবিক জিনিস চলছে। এখন মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে কী দানব-দৈত্যগিরি করা যায় সেদিকে এদের চোখ।'