গত শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তারপর রবিবার তৃণমূল দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ফোনে দু'বার কথা হলেও মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল সোমবার দুপুরেই। আর সেই বৈঠকেও মমতা ও বাবুলের মাঝে হাজির থাকল 'মুড়ি'। বাবুলকে মুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলনেত্রী। নবান্ন থেকে বেরিয়ে সেকথা বলতে ভোলেননি আসানসোলের সাংসদ।
বৈঠকে হাজির 'মুড়ি'
২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিক্টোরিয়ার সামনে তৎকালীন মোদী মন্ত্রিসভার রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুলের ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে কম চর্চা হয়নি। ছয় বছর পর বাবুলের দলবদলের পর সেই ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ বারবার ফিরে আসছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখাও দিয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ। সোমবার মমুতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরতেই তাঁকে ফের সেই ঝালমুড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাতেই বাবুল জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তিনিও মুড়ি খেতে খুব ভালবাসেন। তবে সাদা মুচেমুচে মুড়িতে ইউরিয়া থাকে। এতে ওজনও বাড়ে। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন গ্রামের ছোট চালের মুড়ি খেতে। বাবুল বলেন এবার মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে তিনি সেই মুড়িই কিনবেন।
বাবুলকে উত্তরীয় পড়ালেন মমতা
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গিয়েছিলেন বাবুল। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি বাবুলকে মনের আনন্দে গান গাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রী তাঁকে যে গান গাইতে বলবেন, তিনি সেই গানি গাইবেন, সাংবাদিকদের জানান বাবুল। তবে তৃণমূলে তিনি কোন দায়িত্বে থাকতে চলেছেন তা নিয়ে এদিনও মুখ খোলেননি আসানসোলের সাংসদ। জানিয়েছেন তিনি অভিষকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা যে দায়িত্ব দেবেন তিনি সেই দায়িত্বই পালন করবেন। তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হচ্ছেন কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে বাবুল বলেন, 'আমাকে এমন কোনও প্রশ্ন করবেন না যা আমি জবাব দিতে পারব না।' পরে একটি প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন কোন দফতরের মন্ত্রী করা হবে'। পাশাপাশি সংবাদসংস্থাকে এদিন বাবুল বলেন, 'আমি চাই আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী পদে সবচেয়ে এগিয়ে। '