মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার শিক্ষামন্ত্রী, পার্থর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের

সামনেই বিধানসভা ভোট। এবারও দল বেহালা পশ্চিম আসনে তার ওপরই ভরসা রেখেছেন। প্রচারের কাজে এখন সকাল-বিকেল ব্যস্ত রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এর মাঝেই তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসলো এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। আগেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এসএসসি-র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা এই চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার শিক্ষামন্ত্রী, বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদেরশিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসেন চাকরি প্রার্থীরা
হাইলাইটস
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি
  • বিক্ষোভ দেখালেন এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা
  • শিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসেন তারা

সামনেই বিধানসভা ভোট। এবারও দল বেহালা পশ্চিম আসনে তার ওপরই ভরসা রেখেছেন। প্রচারের কাজে এখন সকাল-বিকেল ব্যস্ত রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এর মাঝেই তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসলো এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। আগেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এসএসসি-র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকরা। প্রায় আধাঘণ্টা মত বিক্ষোভ করার পর নেতাজি নগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় চল্লিশ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

কেন এক BJP কর্মীর পা ছুঁলেন PM মোদী? দুর্লভ মুহূর্তের সাক্ষী কাঁথি

মেধা তালিকায় নাম থাকা শিক্ষকদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শিক্ষকরা। সেই দিনও পুলিশ বলপূর্বক তাদের হটিয়ে দেয়। আটক করা হয় বহু আন্দোলনকারী শিক্ষকদের। এরপর বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের  নাকতলার বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা।  এর আগে গত ২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, তারা ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরি প্রার্থী। মেধা তালিকায় নাম থাকলেও দূর্নীতির কারণে  নিয়োগ আটকে যাওয়ায় আজও তাদের চাকরি পাওয়া হয়নি। তাদের দাবি, নিয়োগের দাবিতে এরআগে সল্টলেকের  সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ৫৩ দিন অবস্থান চালিয়েছেন। তার মধ্যে ৪৩ দিন অনশন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দুর্নীতির কারণে শিক্ষক নিয়োগ আটকে যাওয়ায় তারা ২০১৯  সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯  দিন অবস্থান বিক্ষোভ  চালিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেধা তালিকাভুক্ত কোন শিক্ষককে বঞ্চিত করা হবে না। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারা আজও বঞ্চনার শিকার হয়ে আছেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী শিক্ষকদের।

Advertisement

'ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী,' কাঁথিতে বললেন মোদী, শিশির কী বলছেন?

পাস করলেও সরকারের অনিয়মের কারণে চাকরি মিলছে না বলে দাবি করছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা । টাকার বিনিময়ে দুর্নীতি করে অন্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, যোগ‍্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। বিকাশ ভবন, এসএসসি-র সদর দফতর আচার্য সদন, নবান্ন— সব জায়গায় তারা স্মারকলিপি দিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এবার প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সেই নন্দীগ্রামে গিয়েও তারা আন্দোলন করবেন এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement