নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বুধবার নরেন্দ্র মোদীর জনসভা ছিল অধিকারী গড় কাঁথিতে। সেখানেই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলেন কাঁথির মানুষ। মঞ্চে তখন বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে এগিয়ে আসেন এক স্থানীয় বিজেপি নেতা। এই আচরণে হতচকিত প্রধানমন্ত্রী উঠে দাঁড়ান। তারপর নিজেও পাল্টা সেই নেতার পা ছুঁয়ে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রীর মত এক ব্যক্তিত্বকে এভাবে দলের এক সাধারণ নেতার পা ছুঁতে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান। সেই ভিডিও পরে নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে বিজেপি। নিমেষে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে।
भाजपा एक ऐसा सुसंस्कृत संगठन है, जहां कार्यकर्ताओं में एक-दूसरे के प्रति समान संस्कार का भाव रहता है।
— BJP (@BJP4India) March 24, 2021
पश्चिम बंगाल में चुनावी रैली के दौरान मंच पर जब एक भाजपा कार्यकर्ता पैर छूने आया, तो पीएम श्री @narendramodi ने भी पैर छूकर कार्यकर्ता का अभिवादन किया।#BanglarUnnotiteBJPChai pic.twitter.com/QDGSKNqbBb
ট্যুইটারে বিজেপির ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, "বিজেপি এমন একটি সুসংস্কৃতির সংগঠন, যেখানে কর্মীরা একে অপরের প্রতি সম্মান সংস্কারের ভাব বজায় রাখে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন, যখন একজন বিজেপি কর্মী নরেন্দ্র মোদীর পা স্পর্শ করতে মঞ্চে এসেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীও তাঁর পা স্পর্শ করে সেই কর্মীকে অভ্যর্থনা জানান।”
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে পুণ্যস্নান করতে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সেখানে গঙ্গায় স্নান ও আরতি করার পর নিজের হাতেই এলাকার সাফাই কর্মীদের পা ধুইয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ে বিজেপি দাবি করেছিল, মহাত্মা গান্ধীর পর আর কোনো নেতা এভাবে নিজেকে সমর্পণ করেননি৷ তবে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, ভোটের মুখে দলিতদের মন জয়ের চেষ্টা৷ এদিনও মোদীকে দেখা গেল এক সাধারণ বিজেপি নেতার পা স্পর্শ করতে। আসলে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী কোনো বাছ-বিচার করেন না। তাঁর কাছে পার্টির সব স্তরের কর্মীরা সমান। ভিডিওর মাধ্যমে যেন এমনই বার্তা দিতে চাইল ভারতীয় জনতা পার্টি।
জানা যাচ্ছে এদিন যে দলীয় নেতার পা প্রধানমন্ত্রী ছুঁয়েছেন তিনি কাঁথির বিজেপির সভাপতি। নাম অনুপ চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজের আবেগকে আর চেপে রাখতে পারেননি অনুপবাবু। এদিন অনুপকে অবশ্য বারবার হাত নেড়ে তাঁকে প্রণাম না করা থেকে আটকাতে চেয়েছিলেন মোদী। শেষপর্যন্ত নিজেও সেই বিজেপি নেতার পা ছুঁয়ে নজির গড়লেন।