বাংলার সবাইকে নিখরচায় করোনা টিকা দেওয়া হবে। সোমবার নবান্নে ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন।
এদিন মমতা বলেন, চেম্বারকে অনুরোধ করছি একটা বাজারে দায়িত্ব নিন। অনেক এনজিও আছে। সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং হবে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সবাইকে নিখরচায় করোনার টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আশার মেয়েরা অনেক কাজ করে। তাঁর অভিযোগ, দেশের ৬৫ শতাংশ টিকা বাইরে গেল। মানুষ এখন বিপদে। একদম লকডাউন না করে, লকডাউনের মতো বিধি তৈরি করা দরকার।
তাঁর বার্তা, কোনও ভুল হলে জানান। আতঙ্ক ছড়াবেন না। প্যানডেমিক ল কাজে লাগাতে হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছি। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানান তিনি। মমতা জানান, করোনা রোগের নিখরচায় চিকিৎসা হচ্ছে রাজ্য়ে।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগাবে রাজ্য। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে কোয়াক ডাক্তার রয়েছেন। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কার কী করা উচিত, কার কী করা উচিত নয়, তা জানাবেন। এ ব্য়াপারে স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাদের কাছে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হবে।
এদিন কোরনা পরিস্থিতি মোকাবিলার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে জানান, ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত। বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। আর বিকেলে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্যে সরকার। বুধবার শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সে ব্যাপারে ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে কাজ হবে। বেসরকারি জায়গাতেও তাই।
তিনি আরও জানান, আমাদের অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছে অন্য রাজ্য। অনেক বেড বাড়ানো হয়েছে। সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। ৩ হাজার আইসিসিইউ বেড বাড়ানো হয়েছে। মৃতদেহ একটাও ফেলে রাখতে চাই না।