Arpita Mukherjee Gold Diamond: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকার পাশাপাশি মিলেছে সোনার খনি! কী কী গয়না ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর ফ্ল্যাটে? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আদালতে তার তালিকা জমা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একের পর এক গয়না রয়েছে সেখানে। মিলেছে সোনার চুড়ি, ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের হার।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটো ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। সেখানে টাকার পাশাপাশি প্রচুর গয়না পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১১টা সোনার চুড়ি, ৯টি ছোট হার, ৪টি হার, ১টি সোনার পেন, ৫টি আংটি, ৭টি সোনার চেন এবং ৬টি বালা (সোনার)। ইডি নিজেদের নথিতে জানিয়েছে, বালার ওজন ৫০০ গ্রাম।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় মঙ্গলবার থেকে আবার স্মার্ট টোকেন
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে হরিদ্বার-ঋষিকেশে গঙ্গাস্নান নয়, প্রয়াগরাজে কড়াকড়ি
আরও পড়ুন: প্রবীণ-মহিলারা বেশি সাইবার অপরাধের শিকার, বলছে NCRB-র তথ্য
সরানো হয়েছে পার্থকে
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পার্থবাবুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি রাজ্যের পরিষদীয়, শিল্প এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন। তিন দফতর থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার ৬ দিন পর পার্থবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হল। এর পাশাপাশি তাঁকে দলের পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে। তিনি বেহালা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার (২২ জুলাই) ইডি কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগায় অভিযান চালায়। পার্থবাবুর বাড়িতেও হাজির হয়েছিল ইডি। এর পাশাপাশি কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার এক আবাসনের ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। পরে অর্পিতার আরও এক ফ্ল্য়াটের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকেও টাকা এবং সোনা উদ্ধার হয়।
সেইসঙ্গে সেখান থেকে মিলেছিল সোনা, বিদেশি মুদ্রা, এমনই দাবি ইডি-র। ওই ফ্ল্যাট অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার। তিনি রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়।
তদন্তের সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর পার্থর 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত আরও একজনের সন্ধান মিলেছে। তাঁর নাম মোনালিসা দাস। তিনি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান। জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে পার্থবাবুর সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।