SSC Scam Partha Chatterjee Madan Mitra: পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম নন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য। তিনি মদন মিত্র। সে সময় মদনবাবু ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী। সারদা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেটা ২০১৪ সালের ঘটনা। গ্রেফতারির বেশ কিছু সময় পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রী পদ থেকে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও যে সব পদে ছিলেন, সেখান থেকেও অপসারিত করা হয়।
সরানো হল পার্থকে
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পার্থবাবুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি রাজ্যের পরিষদীয়, শিল্প এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন। তিন দফতর থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর দায়িত্ব সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়ার ৬ দিন পর পার্থবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হল। তিনি বেহালা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার (২২ জুলাই) ইডি কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগায় অভিযান চালায়। পার্থবাবুর বাড়িতেও হাজির হয়েছিল ইডি। এর পাশাপাশি কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার এক আবাসনের ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা।
সেইসঙ্গে সেখান থেকে মিলেছিল সোনা, বিদেশি মুদ্রা, এমনই দাবি ইডি-র। ওই ফ্ল্যাট অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার। তিনি রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ, তালা ভেঙে খোলা হবে বিশ্বভারতীর হস্টেল
আরও পড়ুন: চিপসের প্যাকেটে সাজানো গাড়িতে বর গেল বিয়ে করতে, ছবি VIRAL
আরও পড়ুন: কমিউনিকেশন স্কিল ভাল করতে চান? রইল ৩ সুপারহিট ফর্মুলা
এরপর শনিবার গ্রেফতার হন পার্থবাবু। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। তবে ইডি তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এবং মামলা করে আদালতে। তারপর তাঁকে পাঠানো হয় ভুবনেশ্বর এইমসে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর গুরুতর অসুস্থতা পাননি। এরপর তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়।
বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার আরও এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২৯ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি সেখানে পাওয়া গিয়েছে সোনার বার। এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়।
গ্রেফতার করা হয়েছিল মদনকে, তখন মন্ত্রী
মদনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে টনা জেরা করা হয়েছিল। তবে উত্তরে অসঙ্গতি থাকার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। টাকার বিনিময়ে সারদা-কর্তা সুদীপ সেনকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলন বলে অভিযোগ।
মদন মিত্র দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে সারদার কোনও যোগাযোগ নেই। তবে সিবিআই তাঁর এই দাবি নাকচ করে দেয়। তারা হাজির করেছিল বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ। যেখানে দাবি করা হয়, সারদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র।
এরপর মদনবাবুকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে তদন্তকারীদের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, তিনি 'প্রভাবশালী'। বাইরে এলে তিনি তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন।
কামারহাটি থেকে জয়
তিনি ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। হেরে গিয়েছিলেন সিপিআইএমের মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে। এরপর অবশ্য তিনি ২০২১ সালের ভোটে জেতেন সেই কামারহাটি কেন্দ্র থেকেই।