বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। আর বাঙালির প্রিয় মাছ, সেটাও সেকেন্ডে বলে দেওয়া যায়। বর্ষায় বাঙালির পাতে ইলিশের ম ম গন্ধ থাকা চাই-ই চাই। তবে বাংলাদেশে ইলিশ সহজলভ্য হলেও এপারে প্রতিবছরই আকাল। চেয়ে থাকলে হয় ওপারের রফতানির উপর। ফলে প্রতিবছর সীমান্ত দিয়ে আসে ইলিশ। অনেক সময় সেই ইলিশের দাম এতটাই যে সাধ মেটানোর সাধ্য থাকে না। বাঙালির পাতে ইলিশ পৌঁছে দিতে বড় বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের উপর ইলিশ নির্ভরতা কমাতে চাইছেন তিনি।
বাংলাদেশের মতো এপারেও নদী-সাগরে ইসিশ মেলে। তবে পদ্মায় যে ইলিশ পাওয়া তা এখানে মেলে না। সংখ্যায় তো বেশিই স্বাদে-গন্ধেও অতুলনীয়। স্বাভাবিকভাবে প্রতি বছর বর্ষায় ইলিশের জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় এপারের বাঙালিকে। ওপারের ইলিশ নিয়ে বাংলাদেশের উপর নির্ভরতা কমানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তিনি বলেন,'এপার বাংলাতেও ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ইলিশের গতিবিধি নিয়ে গবেষণা চলছে। আমাদের ওপারের ইলিশের উপর আর নির্ভর করতে হবে না।'
বড় ইলিশের দাম অনেক। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই বিক্রি হয় খোকা ইলিশ। দামে অনেকটাই কম। তবে স্বাদ নেই। এদিকে এই খোকা ইলিশ ধরায় ব্যাপকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না ইলিশের। ইতিমধ্যেই খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তবে সেটা বাজারে গেলে টের পাওয়া যায় না। এনিয়েও বিধানসভায় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মমতা। তিনি জানান,'কেবল আইন করে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করতে হবে।'মুখ্যমন্ত্রীর কথাই এর আগে শোনা গিয়েছিল মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মুখে। তাঁরা জানিয়েছিলেন, মানুষকে বুঝিয়ে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে হবে।