
সফল হয়েছে পরীক্ষামূলক দৌড়। শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় শুরু হচ্ছে বন্দে ভারত। এই প্রথম বাংলার মাটিতে চলবে দেশের দ্রুততম ট্রেন। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা দেখিয়ে ট্রেনের সূচনা করবেন। নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হবে আপ ২২৩০১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সাধারণ মানুষ কবে থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন? কখন ছাড়বে ট্রেন? কী কী সুবিধা থাকছে? ভাড়াই বা কত? বন্দে ভারত নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর রইল এই প্রতিবেদনে।
শতাব্দীর চেয়ে কম সময়ে উত্তরবঙ্গে
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির রেলপথের দূরত্ব ৫৫৬ কিলোমিটার। সেই দূরত্ব বন্দে ভারত জুড়বে মাত্রা সাড়ে ৭ ঘণ্টায়। একই দূরত্ব শতাব্দী এক্সপ্রেসে অতিক্রম করতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট। ফলে বন্দে ভারতে ৫০ মিনিট কম সময় লাগবে।
কখন ছাড়বে ট্রেন?
রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছাড়বে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। মাঝে শান্তিনিকেতন, মালদা টাউন ও বরসৌইয়ে থামবে। জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে বোলপুরে থামকবে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে। ১০.৩২ মিনিটে পৌঁছবে মালদা টাউনে। ১১.৫০ মিনিটে যাবে বরসৌই। তার পর ১টা ২৫ মিনিটে পৌঁছবে অন্তিম গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়িতে।
আবার ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে দুপুর ৩টো ৫ মিনিটে। সকালে দার্জিলিং ছেড়ে ট্রেনে উঠে পড়তে পারবেন পর্যটকরা। হাওড়ায় পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা রাতেই বাড়ি ঢুকে পড়তে পারবেন। এমনকি বাড়ি ফিরে যেতে পারেন মফঃস্বলবাসীরাও। জলপাইগুড়ি থেকে আসার পথে ট্রেনের প্রথম স্টেশন ৪টে ৪৪ মিনিটে বরসৌই। মালদা টাউনে থামবে ৫টা ৫০ মিনিটে। ৮টা ২২ বোলপুরে পৌঁছবে।
সপ্তাহে ক'দিন চলবে?
সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ট্রেন। বুধবার দু'প্রান্ত থেকেই বন্ধ থাকবে।
ট্রেনের গতিবেগ কত?
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার। তবে রেললাইনের কারণে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পেরোবে না। এটাও সর্বত্র এক থাকবে না। ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারতের সর্বাধিক গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে রেল সূত্রের খবর। রেললাইন আধুনিকীকরণ না করায় গতি ১০০ কিলোমিটারের বেশি তোলা যাবে না। বেশিরভাগ অংশে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটারে থাকে। গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার।
বন্দে ভারতে খাবার দেওয়া হবে যাত্রীদের। আপ ট্রেনে প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবার দেওয়া হবে। থাকবে চা এবং কফিও। জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ফেরার পথে ডাউন ট্রেনে সন্ধ্যার জলখাবার দেওয়া হবে। চা ও কফি থাকবে। রয়েছে নৈশ আহারও।
বন্দে ভারতে কোন শ্রেণির কোচ থাকছে?
বন্দে ভারতে চেয়ার কারের ব্যবস্থা থাকছে। রয়েছে দু’রকম কামরা। একটি এসি চেয়ার কার, আর একটি এগ্জিকিউটিভ চেয়ার কার। রাত না কাটানোয় স্লিপার ক্লাস থাকছে না।
ভাড়া কত?
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া এখনও জানা যায়নি। রেলের ওয়েবসাইট থেকে যা জানা যাচ্ছে, বন্দে ভারতের এই দূরত্বের জন্য ভাড়া এসি চেয়ার কারের জন্য ১,০২৩ টাকা এবং এগ্কিউটিভ ক্লাসের জন্য ২,১১৩ টাকা হতে পারে। এর সঙ্গে খাবার খরচ ধরা নেই।
আরও পড়ুন- বাংলায় মোদী, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন-সহ ঠাসা কর্মসূচি PM-এর