TMC-র প্রার্থী বাছাই ভোটে রাজ্য পুলিশ কেন? হাইকোর্টে শুভেন্দুSuvendu Adhikary PIL High Court: সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সব দলই নিজেদের নিজস্ব মেকানিজমে প্রার্থী বাছাই করছে. তৃণমূল যেমন এবার দলের মধ্যে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করছে। ওই ভোট করানোর জন্য় পুলিশ ব্যবহার করেছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন ডিজিকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে জানতে চেয়েও উত্তর না পেয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্ট এই জনস্বার্থ মামলাটি গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ : উত্তর দিনাজপুরে নদীতে বালি মাফিয়াদের তৈরি গর্তে তলিয়ে ৩ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
দলীয় ভোটে পুলিশ ব্যবহার নিয়েই মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান এলাকার মানুষ তা জানতে জায়গায় জায়গায় ভোটের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাতে মোতায়েন করা হয়েছিল অনেক পুলিশ। পুলিশ ব্যবহারের জন্য কি সরকারি খাতে টাকা জমা করেছে তৃণমূল? ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়ে উত্তর পাননি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এবার তাই সদুত্তর চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের তরফে নবজোয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় পদযাত্রা ও জনসভা করছেন। তাতে যে ভোট হচ্ছে তাতে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং রাজ্য পুলিষশকে দলীয় ভোটে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে সেই মর্মে জনস্বার্থ মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করেননি শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ ব্যবহারের জন্য সরকারি খাতে টাকা জমা করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
বলা হয়েছে, একটি আঞ্চলিক দল বিভিন্ন যায়গায় একটি ভোটের আয়োজন করছে। ভোট এই মর্মে নেওয়া হচ্ছে যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন। তাঁর মতামত নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। সেই ভোটে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এই কাজের জন্য সেই আঞ্চলিক দলটি কি পুলিশের খাতায় বা সরকারি খাতে টাকা জমা করেছে? এই মর্মে ডিজিপি-কে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কোনও উত্তর তিনি পাননি বলেই জানানো হয়েছে। এই উত্তর না পেয়েই তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন যে এইভাবে দলিয় কাজে কীভাবে নিজের ইচ্ছামতো পুলিশ ব্যবহার করা যায়। নিয়মে বলা হয়েছে যে, পুলিশকে ব্যবহার করতে হলে বা পুলিশ মোতায়েন করতে হলে তাঁর জন্য টাকা জমা করতে হয়।পুলিশের খাতে। সেটাও জমা করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে এবং আরও বলা হচ্ছে যে উত্তর দিচ্ছেন না ডিজিপি।
শুভেন্দু অধিকারীর মতে পুলিশ মহাপরিচালকের কাছ থেকে উত্তর না পেয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। আদালত পিআইএল গ্রহণ করেছে এবং ৭ জুন সময় দেওয়া হয়েছে মামলার শুনানির জন্য।