Egged Hilsa Good or Bad:
১. ইলিশের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। বাজারে বাজারে কাঁচা ইলিশের গন্ধে মম। সকাল থেকে দুপুর বাঙালি বাড়িতে আশপাশ দিয়ে গেলেই ইলিশের গন্ধে খিদে চাগাড় দিয়ে উঠছে। ভাজা থেকে ভাপা, পাতুরি, ঝোল, ভুনা যে যেমন পারে বানিয়ে খাচ্ছে।
২. তবে বাজারে গিয়ে বেশিরভাগই চান ডিমছাড়া ইলিশ কিনতে। ডিমছাড়া ইলিশের স্বাদ খানিকটা বেশি বিশেষজ্ঞরাও বলেন। তবে ডিমওয়ালা ইলিশও অনেকে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন ইলিশ মাছের ডিমে কী থাকে?
৩. এই মাছের ডিমের উপকারিতাও কম নয়। স্বাদে অতুলনীয়। আর পুষ্টিগুণও দারুণ। ইলিশ মাছের ডিমের উপকারিতা জানলে এক্ষুণি বাজারে ছুটবেন। আর কখনও ডিমছাড়া ইলিশ কিনবেন না।
৪. কী করে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ? এ ধরণের মাছের পেট খানিকটা উঁচু এবং মোটা থাকে। আকৃতিতে চ্যাপ্টা। পেটটা টাইট-শক্ত থাকে। ডিমছাড়া ইলিশের পেটে হাত দিলে একটু নরম থাকে।
৫. চিকিৎসকদের মতে, ইলিশ মাছের ডিমে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে, তা শরীরের নানা সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। ইলিশের ডিমে থাকা ইপিএ, ডিএইচ, ডিপিএ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করে।
৬. এছাড়াও ইলিশের ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা কিনা রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস দূরীকরণে সাহায্য করে। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আবার মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন কাটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
৭. ইলিশ মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুব উপকারী। ইপিএ, ডিএইচ শিশুদের চোখ ঠিক রাখতে খুব কার্যকরী। রেটিনাকেও ভাল রাখে।
৮. ইলিশ মাছের ডিম হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তাল্পতাও দূর করে। এবং রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৯. ইলিশ মাছের ডিমে ভরপুর ভিটামিন ডি থাকে। যা শরীরের হাড় শক্ত করে। দাঁতকেও মজবুত রাখে। করে এই মাছের ডিমে থাকা উপাদান। ইলিশের ডিমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
১০. ইলিশের ডিমে থাকা ইপিএ, ডিএইচ ও ডিপিএ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে কাজে লাগে। ইলিশ মাছে ও ডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের লক্ষণ দূর করতে সাহায্য করে।
১১. মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। শিশুদের জন্যও এটি কার্যকরী। রক্ত পরিষ্কার করে রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে ইলিশ মাছের ডিম। মাছের ডিমে থাকে ভরপুর ভিটামিন ডি।