Darjeeling Popular Restaurant: দার্জিলিং মানেই হিহি ঠান্ডায় কেঁপে আমোদ ভ্রমণ, কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন আর কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া। দেশির সঙ্গে বিদেশী খানার আলাদা আকর্ষণ। বিশেষ করে ব্রেকফাস্ট আর স্ন্যাক্সে এত রকম ইউরোপীয় খাবারের ভ্যারাইটি যে ঠান্ডায় বসে কাঁপতে কাঁপতে লন্ডন বা জুরিখের মতো অনুভব পেতে পারেন। এমন পরিবেশের গুণেই হোক কিংবা ইউরোপীয় খানা-পিনার টানেই হোক দার্জিলিংয়ের দুটি রেস্তোরাঁয় পা রাখেন না, এমন লোক মেলা ভার।
গ্লেনারিজ
দার্জিলিং-এর কিংবদন্তী রেস্তোরাঁ হল গ্লেনারিজ। এখানকার পরিবেশই আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। এখানে ফরাসি ধাঁচের তৈরি জানালা আ শার্সি আলাদা আকর্ষণ। গ্লেনারিসের ভিতরে বসে তো খাওয়াই যায়। তবে অনেকে বেছে নেন পিছনের দিকে পাহাড়মুখী বারান্দা। সেখানে সার দিয়ে পাতা টেবলে বসে সিজলার আর গরম কফিতে চুমুক দেওয়ার ফ্যান্টাসিই আলাদা।
কী কী খাবেন?
চারপাশের দার্জিলিং শহরের একটা অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে। তার সঙ্গে এখানকার কন্টিনেন্টাল খাবার তো আছেই। এদের নিজস্ব বেকারির কেক পেস্ট্রি মিস করবে না। তার সঙ্গে অবশ্যই এক কাপ স্পেশাল চা। এখানকার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের চিকেন সিজলার প্ল্যাটার। এর টানেই আসেন বেশিরভাগ মানুষ। রাইস এবং নুডলস দু'রকম আইটেম দিয়েই পাওয়া যায়। যার যেটা পছন্দ।
এছাড়াও খেতে পারেন, চিকেন পকোড়া, ক্রিসপি ফ্রায়েড পর্ক, ফিশ ফিঙ্গার, ক্রিসপি ফ্রায়েড পকোড়া, চিজ বল, পনির পকোড়া, বেকন, চাউমিনের নানা ভ্যারাইটি যার প্রত্যেকটিই অসাধারণ স্বাদ। চেখে দেখতে পারেন স্লাইসড চিকেন, সুইট সাওয়ার পর্ক, চিলি ফিশ, ফিশ মাঞ্চুরিয়ান, সুইট অ্য়ান্ড সাওয়ার ফিশ, চিকেন চিলি, ফিশ চিলি। ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল ডিশ, নন ভেজ ডিশ, রোস্টেড চিকেন সিজলার ছাড়াও চিকেন হ্যামবুর্গ স্টেক, রোস্ট পর্ক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, চিকেন কাটলেট, বিফ কাটলেট সহ নানা আইটেম। এখানকার মোমোও অসাধারণ।
কেভেন্টার্স
গ্লেনারিসের সঙ্গে একযোগে উচ্চারিত হয় যে রেস্তোরাঁর নাম, তা গ্লেনারিজের পাশেই কেভেন্টার্স। গ্লেনারিজে যা যা পাওয়া যায়, গ্লেনারিসেও মোটামুটি সেগুলি সবই পাওয়া যায়। দুটোর স্বাদে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। একেক জনের একেকটা পছন্দ। আবার অনেকেই দুটোই পছন্দ করেন। সত্যজিতও তাঁর ফেলুদাকে কেভেন্টার্সের হট চকোলেটের ভক্ত করে উপস্থাপিত করেছিলেন। এখানকার ইংলিশ ব্রেকফাস্ট না খেয়ে দার্জিলিং থেকে ফেরা কিন্তু অপরাধ। এখানে নানা রকম শেক পছন্দ করেন অনেকে। কেভেন্টার্সের রুফটপের খোলা ছাদে বসে ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার অর্ডার করুন, তারপর এনজয় করুন।
তাহলে যাঁরা দার্জিলিং যাবেন বা গিয়েছেন কিন্তু এই দুই রেস্তোরাঁয় খাননি, তাঁদের এখনও দার্জিলিং ঘোরার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়নি। তাই আর দেরি না করে এর পরের বার অবশ্য়ই ঘুরে দেখুন।