Health Facts: মাঝে মধ্যে মদ খেলেও কি লিভারের ক্ষতি হয়? ডাক্তাররা যা বললেন

মদ খেলে শরীরের ক্ষতি হয় তা প্রায় সকলের জানা। এরপরেও মদের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, উল্টে তা বেড়ে গিয়েছে। সামনেই আসছে বড়দিন আর বর্ষবরন উৎসব। ফলে কম বেশি সকলেই এখন পার্টি মোডে। সারা বছর মদ খাওয়ার অভ্যেস না থাকলেও অনেকেই এই সময় মদ খান। এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কতটা মদ খেলে শরীরের ক্ষতি এড়ানো যায়? এ ব্যাপারে অ্যাজেন্ডা আজতক-এর মঞ্চে কী জানালেন চিকিৎসক শিব কুমার সারিন।

Advertisement
মাঝে মধ্যে মদ খেলেও কি লিভারের ক্ষতি হয়? ডাক্তাররা যা বললেনNaresh Trehan

মদ খেলে শরীরের ক্ষতি হয় তা প্রায় সকলের জানা। এরপরেও মদের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, উল্টে তা বেড়ে গিয়েছে। সামনেই আসছে বড়দিন আর বর্ষবরন উৎসব। ফলে কম বেশি সকলেই এখন পার্টি মোডে। সারা বছর মদ খাওয়ার অভ্যেস না থাকলেও অনেকেই এই সময় মদ খান। এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কতটা মদ খেলে শরীরের ক্ষতি এড়ানো যায়? এ ব্যাপারে অ্যাজেন্ডা আজতক-এর মঞ্চে কী জানালেন চিকিৎসক নরেশ ত্রেহান।
 

কোন কোন রোগ থাকলে মদ খাওয়া উচিত নয়?
তথ্য তুলে ধরে ডাক্তার সারিন বলেন, হাসপাতালে লিভারের সমস্যা নিয়ে যারা আসছেন তাদের দুই জনের মধ্যে একজন মদ্যপান করেন। তাই ঠিক কতটা মদ খেলে লিভারের সমস্যা হয় না সে ব্যাপারে বলা খুব মুশকিল। যাদের ডায়বেটিস, ফ্যাটি লিভার বা কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁদের এক ফোঁটাও মদ খাওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ' যাদের ডায়াবেটিস আছে, লিভারে চর্বি, স্থূলতা বা যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড আছে, তারা মদ খেলে লিভারের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেড়ে যায়।' 
 

সপ্তাহে কতটা মদ খাওয়া যায়?
সামান্য পান করা বিপজ্জনক নয় কিন্তু ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেশি পরিমাণে খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। এই বিষয়ে ডক্টর ত্রেহান বলেন, 'প্রথম ডক্টর সারিন অ্যালকোহল নিয়ে খুব একাডেমিক উত্তর দিয়েছেন। আমরা যে সহজ উত্তর দিই তা হল দুই পেগ ৩০ মিলিলিটার পানীয় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়া যায়। দুটি ছোট পানীয় অর্থাৎ ৩০ মিলি পানীয় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিহারে এক বক্তৃতার সময় আমি এই কথা বলেছিলাম।' 

৩০ বছর বয়স হলেই গোটা শরীর চেকআপ করান 
চিকিৎসক ত্রেহান আরও বলেন, 'হৃদরোগ খুবই উদ্বেগের বিষয়। ভারতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি, যার কারণে অনেক গবেষণা করা হয়েছে। আমাদের জিনে হার্টের রোগ হওয়ার দ্বিগুণ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যায়াম করা হয় না, আমরা সমৃদ্ধ খাদ্য নেই, ভারতে যে খাদ্য সংস্কৃতি আছে তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। আমরা যা খাই তা যদি ব্যবহার না করা হয় তবে তা আমাদের ওজনও বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া এখানে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও অন্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণ। ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সংমিশ্রণ খুবই বিপজ্জনক।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement