
Domino's World's Cheapest Pizza: পিৎজা ভারতে সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছে। তবে সত্যি বলতে এখনও বেশিরভাহ পিৎজাই আমজনতার বাজেটের বাইরে। ডমিনোজের পিৎজা মার্কিন মুলুকে অতি সাধারণ খাবারের মধ্যে পড়ে। অনেকটা আমদের কচুরি-সিঙারার মতো। কিন্তু ভারতে ডমিনোজের পিৎজা কিছুটা বিলাসবহুল খাবারের দিকেই পড়ে যায়। সেই বাজারেই নজর দিল ডমিনোজ। একেবারে সস্তায়, ৪৯ টাকায় পিৎজা আনল তারা। এটিই 'বিশ্বের সবচেয়ে সস্তার পিৎজা' বলে বিজ্ঞাপন করছে ডমিনোজ।
এতদিন ডমিনোজে সবচেয়ে সস্তার পিৎজা ছিল ৫৯ টাকার। তাতে শুধুমাত্র টমেটো টপিংয়ের পিৎজা পাওয়া যেত। তারপরেই ছিল ৬৯ টাকার অনিয়ন পিৎজা।
সবচেয়ে সস্তার পিৎজা
নতুন ৪৯ টাকার পিৎজা ইতিমধ্যেই ডমিনোজের অ্যাপে এসে গিয়েছে। 'ক্লাসিক' নামের এই পিৎজায় চিজ ছাড়াও বাসিল এবং পার্সলে রয়েছে। অর্থাত্ অনেকটা চিজ টোস্টের মতোই খেতে হবে। এতে কোনও আলাদা করে টপিং দেওয়া হয়নি। পিৎজা মেনিয়ার মধ্যে এটি পড়ে। ৭ ইঞ্চি সাইজ। এর ফ্রেশ প্যান পিৎজা বেস নিলে দাম পড়বে ৯৪ টাকা।
সংস্থার সিইও সমীর ক্ষেত্রপাল জানিয়েছেন, কম দামের পিৎজার বাজার দখল করতেই এই বাজেট পিৎজা আানা হয়েছে। তিনি ব্যাখা করে বলেন, ৪৯ টাকার পিৎজার কথা শুনেই গ্রাহকরা দোকানে আসবেন। এমনিতেই সব জায়গায় দাম অনেক বেশি। গ্রাহকরা তাই বাইরে কম খাওয়াদাওয়া করছেন। আমাদের যে গ্রাহকরা রয়েছেন, তাঁরা যেন অন্য কোথাও চলে না যান।
ভারতের জন্যই অবশ্য এত সস্তার পিৎজা আনা হয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোতে সবচেয়ে সস্তার পিৎজার দাম ১২ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯৮৪ টাকা। অর্থাত্ ভারতে সেই দামে অনেক বেশি টপিং সহ প্রিমিয়াম পিৎজা হয়ে যাবে।
শুধু ডমিনোজই নয়। সমস্ত বিদেশি ফাস্ট ফুড চেন-ই ভারতের জন্য নতুন করে মেনু সাজাচ্ছে। KFC, বার্গার কিং, পিৎজা হাটের মতো সংস্থাগুলি ভারতের জন্য খাবারের দাম কমাচ্ছে। মেনুতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ভারতে ফাস্ট ফুড চেনগুলির বাজার ধরা মোটেও সহজ। এখানে ১০০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায়। সেই দামেই চাইনিজ কম্বো পাওয়া যায়। তাছাড়া সস্তার কচুরি, সিঙাড়া, পাও ভাজি, নুডলস, রোলের মতো নানা খাবারের ছড়াছড়ি। ফলে এই বাজার ধরা মোটেও সহজ নয়।
জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস ভারতে ডোমিনোজের ১,৮১৬টি আউটলেট চালনা করে। ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে তাদের মুনাফা ৭০% হ্রাস পেয়েছে।