মাছে-ভাতে বাঙালির প্রিয় হল চিংড়ি। সাধারণত রোজ চিংড়ি মাছ রান্না হয়তো কেউ করেন না। ছুটির দিন বা কোনও বিশেষ দিন, কিংবা সপ্তাহের এক-আধটা দিন চিংড়ি পাতে থাকলে মন ভাল হয়ে যায়। বাঙালি মাছ খেতে ভালবাসেন। বাজারে নানা রকমের মাছ পাওয়া যায়। এর মধ্যে চিংড়ি বাঙালির রান্নাঘরে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। চিংড়ি না ইলিশ, বঙ্গজীবনে এই মিষ্টি লড়াই চিরন্তন। আবার কেউ কেউ ইলিশও যেমন পছন্দ করেন, তেমন চিংড়িও খেতে ভালবাসেন। রসনাপ্রিয় বাঙালির পাতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জুড়ে রয়েছে চিংড়ি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কত রকমের পদ রান্না করা হয়। চিংড়ির মালাইকারি, ডাব চিংড়ি, চিংড়ির তেলকষা, আরও কত কী! প্রতিটি পদই লোভনীয় হয়। আবার কেউ বিভিন্ন তরকারিতেও চিংড়ি মাছ দেন। কেউ আবার টকেও চিংড়ি মাছ দেন। এসব পদ পেটভরে খান সকলে। মাছের মতো বাঙালি মানেই ভেতো। ভাত খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে রোজকার ভাত না হয়ে তা যদি পোলাও হয়, তা হলে খিদে বেড়ে যায়। পোলাওয়েরও হাজার রকমের পদ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল চিংড়ির পোলাও। চিংড়ি মাছ দিয়ে পোলাও, জাস্ট জমে যাবে। ঘরে সহজেই বানাতে পারেন এই পদ। রেসিপি রইল...
উপকরণ:
চিংড়ি, হলুদ গুঁড়ো, জলে ভেজানো চাল, ঘি, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, জয়িত্রী, জায়ফল, তেজপাতা, টমেটো কুচি, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা,ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, নারকেল দুধ, চিনি, নুন, তেল।
পদ্ধতি:
প্রথমে চিংড়িতে হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে ম্যারিনেট করে নিতে হবে। ভাত আলাদা করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে চিংড়িগুলি হাল্কা করে ভেজে তুলে নিন। কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, পেঁয়াজকুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভালভাবে নাড়াচাড়া করে নিন। এরপর এতে টমেটো কুচি, ধনেপাতা, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, নারকেলের দুধ দিতে হবে। এবার এতে ভেজে রাখা চিংড়ি দিন। এরপর গ্রেভি ঘন হয়ে এলে চিংড়িগুলি আলাদা করে রাখতে হবে। অন্য কড়াইয়ে ঘি, লবঙ্গ, জল ঝরানো ভাত, এলাচ দিয়ে রান্না করুন। এবার চিংড়ির গ্রেভিতে ভাত ঢেলে দিতে হবে। পরিমাণমতো মশলা দিন। কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। রান্না হয়ে এলে এতে চিংড়িগুলি দিন। সেই সঙ্গে ঘি দিয়ে কম আঁচে মিনিট চারেক রাখতে হবে। তারপর নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিংড়ির পোলাও।