মিষ্টির দোকানের কচুরি ও ছোলার ডাল। জলখাবারে এর স্বাদই আলাদা। বাঙালির আদি রন্ধনশিল্পের অন্য়তম নির্দশন। আর মিষ্টির দোকানের ছোলার ডালে একটি আলাদা স্বাদ থাকে। বাড়িতে শত চেষ্টাতেও তা আসে না। মিষ্টির দোকানের ছোলার ডালে বেশ সুন্দরভাবে ডাল ও আলু গলে যায়। তাতে মশলার সুন্দর গন্ধ থাকে। আবার সেই একইসঙ্গে হালকা ঝাল-ঝাল ও মিষ্টি হয়।
চিন্তা নেই। একেবারে মিষ্টির দোকানের রেসিপিই রইল আপনাদের জন্য। একেবারে হুবহু মানলে আলবাত একইরকম হবে।
ছোলার ডাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর প্রেসার কুকারে দিয়ে পরিমাণ মতো জল, তেল, অল্প আদা, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ২টি সিটি দিয়ে নিন। ঢাকনা খুলে ডালের কাঁটা দিয়ে একটু ঘেঁটে নিন।
আলু ও নারকেল কুচি ভেজে তুলে রাখুন। এটি পরে লাগবে।
এবার কড়াতে সর্ষের তেল গরম করুন। তাতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জিরে, হিং ফোড়ন দিন। এতেই কিন্তু সেই সুগন্ধী ব্যাপারটা আসবে।
এরপর তাতে আদা বাটা ও কাঁচালঙ্কা বাটা দিন। এরপর জিরে গুঁড়ো, হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কা দিন। মশলা শুকিয়ে গেলে অল্প জল দিন। আলু ও নারকেল কুচি দিয়ে দিন।
এবার কড়াতে ডাল ঢেলে দিন। স্বাদমতো নুন-মিষ্টি দিন। মিষ্টি একটু বেশিই হবে। তবে আপনি যদি একটু কম মিষ্টি পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে চিনি কম দেবেন।
ডাল একটু নেড়েচেড়ে নিন। এবার একটি পাত্রে অল্প জলে সামান্য বেসন গুলে নিন। সেটি ডালে ঢেলে দিন। এতে ডালের স্বাদ সুন্দর হবে। আবার সেই মিষ্টির দোকানের মতো ঘন ব্যাপারটিও হবে।
১-২ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই রান্না শেষ। সব শেষে উপর থেকে ঘি ও ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিন। কচুরি বা লুচির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন। আবার রুটি বা মুড়ি দিয়েও এটি খেতে বেশ ভাল লাগে।