ভোজনরসিক বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য কত রকমের পদই রান্না করা হয় বলুন। চিকেন, মাটন, মাছ, ডিম দিয়ে নানা ধরনের আমিষ পদ বাঙালির হেঁশেলে রান্না করা হয়। প্রতিটি পদই লোভনীয় হয়। আর এই সব সুস্বাদু পদ পাতে পড়লে খাওয়ার মজাই বদলে যায়।
মাংস খেতে অনেকেই ভালবাসেন। আর সেটা যদি মাটন হয়। তা হলে কেয়া বাত! মাটনের প্রেমে মজে অনেকেই। মাটন দিয়ে নানা রকমের রান্না করা হয়। বিশেষত, ছুটির দিনের লাঞ্চ বা ডিনারে মাটন থাকলে মন চনমনে হয়ে যায়। সেদিন যেন একটু বেশি খাওয়া হয়। সপ্তাহান্তে তাই অনেকেই পাতে মাটন রাখেন।
আবার, বঙ্গজীবনে নারকেলেরও ভূমিকা রয়েছে। নারকেল খেতেও অনেকে ভালবাসেন। পিঠেপুলিতে নারকেলের জুরি মেলা ভার। আবার কোনও শুভ কাজেও নারকেল লাগে। মাটন দিয়ে তো নানা রকমের পদ রান্না করা হয়। নারকেল আর মাটনের যদি মেলবন্ধন ঘটানো যায়, তা হলে কেমন হবে? ঘরে সহজেই বানাতে পারেন নারকেল মাটন। সহজ রেসিপি জেনে নিন...
উপকরণ:
মাটন, রসুন বাটা, আদা বাটা, কঁচালঙ্কা বাটা, পেঁয়াজ, জিরেগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, নুন, চিনি, নারকেল কোরা, গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, তেল, চিনি।
পদ্ধতি:
প্রথমে মাটনে সব বাটা মশলা এবং নুন মাখিয়ে ম্যারিনেট করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এরপর এতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। এতে এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাটন দিন। স্বাদমতো নুন, চিনি মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন। আঁচ কমিয়ে মাংস কষাতে থাকুন। মাংস থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে এতে নারকেল কোরা দিয়ে কষান। মশলা পুরো শুকিয়ে গেলে গরম জল দিতে হবে। এবার ঢাকা দিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। মাটন সেদ্ধ হয়ে এলে এতে ধনপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে নারকেল মাটন। রুটি বা ভাতের সঙ্গে জমে যাবে এই পদ।