মাছ খেতে অনেকেই ভালবাসেন। বিশেষত, বাঙালি ঘরে এক টুকরো মাছ পাতে থাকলে খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছে প্রচুর পুষ্টিও রয়েছে। শরীরের জন্য মাছ খুবই উপকারী। তাই রোজ পাতে মাছ রাখা ভাল। বাজারে কত রকমের মাছ পাওয়া যায় বলুন। একেকটি মাছের যেমন একেকটি গুণ, আবার প্রতিটি মাছের স্বাদও আলাদা হয়। রুই, কাতলা, ভেটকি থেকে ইলিশ, চিংড়ি, নানা রকমের মাছ খেতে ভালবাসেন সকলেই।
আবার, ভাতের সঙ্গে মাছ আর যদি ডাল থাকে, তা হলেও শরীরের জন্য উপকারী। মুসুর ডালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত মুসুর ডাল খেলে শরীরে পুষ্টি পাওয়া যায়। ভাত, মাছ আর ডাল, রোজকার জীবনে এই তিন পদ আমাদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।
মাছ ভাজা খেতে আবার অনেকে পছন্দ করেন। গরম গরম মাছ ভাজা ভাতের সঙ্গে বেশ লাগে। তবে কখনও মুসুর ডালের সঙ্গে কাতলা মাছ ভেজে খেয়েছেন? একদম ঝামেলা নেই। সোজাসাপটা রান্না। আর সময়ও কম লাগে। মুসুর ডালের সঙ্গে কাতলা মাছের রসায়নে মোড়া এই পদ খেতে দারুণ। ঘরে সহজেই বানাতে পারেন মুসুর কাতলা ফ্রাই। রেসিপি জেনে নিন...
উপকরণ:
কাতলা মাছ, মুসুর ডাল, আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরে, ধনে, এলাচ, দারচিনি গুঁড়ো (ভাজা মশলা গুঁড়ো), নুন, সরষের তেল।
পদ্ধতি:
মাছ ধুয়ে নেওয়ার পর প্রথমে আদা-রসুন বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, ভাজা মশলা গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, মাখিয়ে মিনিট ২০ রেখে দিন। অন্য পাত্রে আগে মুসু ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পরে মুসুর ডাল জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। এ বার মুসুর ডাল গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর পাত্রে মুসুর ডালের গুঁড়ো ছড়িয়ে সামান্য নুন মেশান। এ বার ম্যারিনেট করা মাছের দু'পিঠে মিশ্রণটি লাগিয়ে দিন। এ বার মাছগুলো প্রায় আধঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। তার পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছগুলি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মুচমুচে মুসুর কাতলা ফ্রাই।
গরম ভাতের সঙ্গে এই পদ জাস্ট জমে যাবে। অথবা স্যালাডের সঙ্গেও খেতে পারেন।