উৎসবের মরশুমে মন একটু বাড়তি খাইখাই করে। বিশেষ করে বিজয়া দশমী-লক্ষ্মীপুজোর পরে মিষ্টি নাড়ু-মোয়া-গজার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। যদিও এখন সবটাই বাজারে পাওয়া যায়, তবে বাড়িতে বানানো জিনিসের স্বাদ ও আমেজই আলাদা। সামনেই কালীপুজো, দিওয়ালি রয়েছে। এমন আনন্দঘন দিনে খাওয়া-দাওয়া না থাকলে কি চলে? রথযাত্রার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে আছে মেলার কোলাহল, তেমনি ঘ্রাণ ছড়ায় জিলিপি, বাদাম ভাজা, পাপড়, খাজা ও জিবে গজার মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার।
তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই সুস্বাদু জিবে গজা। দোকানের তেলচুপচুপে খাবারের চেয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর, আর স্বাদেও অতুলনীয়। জানুন সহজ রেসিপি,
উপকরণ:
ময়দা ৩০০ গ্রাম, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনির গুঁড়ো স্বাদমতো, সাদা তেল পরিমাণমতো, নুন সামান্য, এলাচ ৩-৪টি থেঁতো করা, জল প্রয়োজন মতো।
প্রণালী:
প্রথমে ময়দার সঙ্গে সামান্য নুন ও ঘি মিশিয়ে ময়ান দিন। এমনভাবে মেখে নিন যেন হাতে নিয়ে মুঠোবন্দী করলে মণ্ড শক্ত থাকে। মণ্ড তৈরি হলে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। তারপর ঘি, জল ও সামান্য চালের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ঘন ব্যাটার তৈরি করুন।
মণ্ডটিকে তিন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ থেকে তিনটি করে রুটি বেলে নিন। মোট নয়টি রুটি হবে। একটার ওপর আরেকটা রুটি বিছিয়ে মাঝখানে ব্যাটার লাগান, তারপর সবগুলো রুটি একসঙ্গে মুড়ে রোল বানান। রোলটি আধ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে পরপর কেটে নিন এবং প্রতিটি টুকরোকে খাজার আকারে চেপে দিন।
ছোট ছোট লেচি কেটে লম্বা আকারে বেলে কাটা চামচ দিয়ে ফুটো ফুটো করে নিন। এরপর কম আঁচে ডুবো তেলে সোনালি বাদামী করে ভেজে তুলুন। অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপারে শুষে নিন।
এবার অন্য কড়াইয়ে চিনি, জল ও এলাচ দিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরা আঙুলে নিয়ে টানলে যদি তারের মতো হয়, বুঝবেন তৈরি। এই সিরায় ভাজা গজাগুলো ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তুলুন। ঠান্ডা হলে চিনির আস্তরণ জমে যাবে।
এইভাবেই তৈরি হবে আপনার লোভনীয় জিবে গজা। বাইরে খাস্তা, ভেতরে নরম ও রসালো। বায়ূনিরোধক পাত্রে রেখে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। বাড়ির সবাইকে খাওয়ান, আর চাইলে উপহার দিন কাছের মানুষদেরও। ঘরে বানানো এই মিষ্টির স্বাদে রথযাত্রা হয়ে উঠবে আরও মিষ্টিমুখর।