শীতকাল মানেই হরেক রকমের পিঠেপুলি খাওয়ার সময়। শীতের পরশ গায়ে মেখে এই সময় অনেকেই নানা ধরনের পিঠে বানান। আর দোকানেও রকমারি পিঠের সম্ভার দেখতে পাওয়া যায়। ঠান্ডায় পিঠে না খেলে যেন জমে না। অনেকেই তাই ঘরেই পিঠে বানান। বিশেষ করে বাঙালির কাছে পিঠেপুলি একটা পার্বণই বটে। মকর সংক্রান্তির সময় ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের পিঠে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরুচাকলি পিঠে অনেকেরই বড্ড প্রিয়।
ইদানীং, দোকানেও সরুচাকলি পিঠে পাওয়া যায়। তবে যাই বলুন, ঘরে তৈরি পিঠের স্বাদই আলাদা হয়। কিন্তু পিঠে বানানো তো চাট্টিখানি কথা নয়! অনেক ঝক্কিই পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য সরুচাকলি পিঠে বানাতে তেমন একটা ঝামেলায় পড়তে হবে না আপনাকে। এই শীতে ঘরেই সহজে বানাতে পারেন সরুচাকলি পিঠে। কী ভাবে বানাবেন? সেই রেসিপিই জেনে নিন।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, সরুচাকলি বানাতে কী কী লাগবে?
উপকরণ:
সরুচাকলি বানাতে লাগবে প্রয়োজন মতো গোবিন্দভোগ চাল, কলাইয়ের জাল, মৌরি, ঘি, নুন।
কী ভাবে বানাবেন?
সরুচাকলি বানাতে প্রথমে কলাইয়ের ডাল ভেজাতে হবে। সারারাত এই ডাল ভিজিয়ে রাখুন। একই সঙ্গে গোবিন্দভোগ চালও ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পর ভেজানো চাল এবং ডাল একসঙ্গে বেটে নিন। তার পরে চাল এবং ডাল বাটার মিশ্রণে জল দিতে হবে। এই ভাবে ব্যাটার তৈরি করুন। মাথায় রাখবেন, ব্যাটারটি যেন খুব বেশি ঘন না হয়ে যায়। অর্থাৎ, পাতলা ব্যাটার হবে। তাই জল মেশানোর সময় বুঝেশুনে করতে হবে। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে তাতে স্বাদ মতো নুন এবং মৌরি মেশান। এর পর কী করতে হবে?
ব্যাটার তৈরি হয়ে যাওয়ার পর নন-স্টিক প্যান মাঝারি আঁচে গরম করুন। প্যানের উপর ঘি বুলিয়ে দিন। এর পর তাতে এক চামচ সরচাকলির ব্যাটার ঢালুন। তার পরে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন পরোটা তৈরির মতো। এই ভাবেই সরুচাকলি তৈরি করুন। নলেন গুড় বা খেজুর গুড়ের সঙ্গে সরুচাকলি খেলে মন ভাল হয়ে যাবে।