ক্লান্তি, খাবারে অরুচি আর গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই সব সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ, এগুলি হেপাটাইটিস বি বা সি-এর লক্ষণ হতে পারে।
রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস৷ রক্ত সঞ্চালন, সিরিঞ্জ থেকে সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে৷ কিন্তু, কখনও অন্য কোনও পথেও শরীরে এই ভাইরাস ঢুকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৬০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস নিশ্চিত ভাবে জানাই যায় না৷ দাড়ি কাটার ব্লেড, খুর বা ব্রাশের মাধ্যমেও অনেক সময় হেপাটাইটিস ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাড়ার সেলুন-পার্লার থেকে দেদার ছড়ায় হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাস৷ এ নিয়ে একাধিক সমীক্ষা-গবেষণাও করা হয়েছে৷ ছোট সেলুন-পার্লারে পরিছন্নতা কম।
পাড়ার সেলুন-পার্লারে কাটার ব্লেড, খুর বা ব্রাশ গরম জলে স্টেরিলাইজ করা হয় না। ব্লেড বদলালেও খুর ঠিক মতো না ধোয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। মাত্র ২০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এর উপসর্গ প্রকাশ পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচআইভি-র চেয়েও ১০০ গুণ বেশি সংক্রামক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। তাই সামান্য অসাবধানতা, অপরিছন্নতা সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রক্তের কণা ব্লেডের পাশাপাশি, খুর আর ব্রাশেও লেগে থাকে৷ সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তকণা ব্লেডের পাশাপাশি ব্লেড, খুর আর ব্রাশেও লেগে যেতে পারে৷
দাড়ি কামানোর পর ওই ব্লেড বদলে নিলেও খুর আর ব্রাশে লেগে থাকা রক্তের কণায় থাকা হেপাটাইটিস ভাইরাস শরীরের বাইরেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে৷