Ghee Eating Alert: হিন্দুশাস্ত্রে বলেছে ধার করে হলেও ঘি খাওয়া উচিত। অনেকেই ঘি খান নিয়মিত। বিশেষ করে শীতকালে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে ঘি হলে আর কিছু চাই না অনেকেরই। আর ঘি খাওয়ার অনেক রকম উপকারও রয়েছে। কিন্তু ঘি সবার সহ্য হয় না। এটা জানা আছে? কাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়, জেনে নিন।
যে কোনও রকমের জ্বর থাকলে একদমই ঘি খাওয়া উচিৎ নয়। জ্বরের সময় ঘি খেলে সমস্যা হতে পারে। হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাতে সব রকম বিপদ বাড়বে।
আপনি যদি লিভার সিরোসিস, স্প্লেনোমেগালি, হেপাটোমেগালি, হেপাটাইটিস ইত্যাদি লিভার সংক্রান্ত রোগে ভুগলে ঘি খাওয়া একেবারেই চলবে না।
ঘি হজম করতে পারেন না সবাই। সেক্ষেত্রে শরীরের হজম শক্তি অনুযায়ী এটি খাওয়া উচিত। বদহজম হলে ভুলেও ঘি খাওয়া উচিত নয় কারও। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী বদহজম বা পেটের সমস্যা থাকলে ঘি একেবারেই খাবেন না।
লিভার সিরোসিস একটি লিভারের রোগ। এটি সুস্থ লিভার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে লিভার স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ফ্যাটি লিভারের রোগীদেরও ঘি খাওয়া উচিত নয়।
এই চিকিৎসক জানাচ্ছেন, গর্ভবতী নারীরা প্রথম মাসগুলোতে ঘি খাবেন না। এছাড়া অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে শরীরে উচ্চ মাত্রা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলেও ঘি খাওয়া উচিত নয়।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের মতে, ঘি কফ বাড়াতে কাজ করে। তাই জ্বর হলে ঘি খাওয়া এড়ানো উচিত। আপনি যদি মৌসুমী জ্বরে ভুগলে এই বিষয়ে আপনার সতর্ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।