
শরীর সুস্থ রাখতে তিনটি পুষ্টিগুণ অপরিহার্য। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এদের মধ্যে কোনও একটির ঘাটতিও শরীরে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষত আয়রনের অভাব হলে দেখা দেয় ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতা, যাকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় অ্যানিমিয়া।
আয়রন শরীরে রেড ব্লাড সেল (লাল রক্তকণিকা) তৈরিতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনকে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়। তাই এই খনিজের ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুখবর হল, ওষুধ নয়, খাদ্যেই মিলবে সমাধান।

পালং শাক
আয়রনের ঘাটতি পূরণে পালং শাকের কোনও জুড়ি নেই। ১০০ গ্রাম পালং শাকে থাকে প্রায় ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন। এটি শুধু রক্ত বাড়ায় না, শরীরকে শক্তিও দেয়। সালাদ, ভাজি বা স্যুপ, যেভাবেই খান না কেন, উপকার মিলবে নিশ্চিত।

বিট
বিটে রয়েছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও ফাইবার। প্রতিদিন একটি চুকন্দর খেলে রক্তের ঘাটতি কমে যায়। জুস, সালাদ, রায়তা বা পরোটা, যেভাবে খুশি ডায়েটে রাখতে পারেন।

সয়াবিন
সয়াবিন শুধু প্রোটিন নয়, আয়রনেরও দারুণ উৎস। ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় প্রায় ১৫.৭ মিলিগ্রাম আয়রন। সেদ্ধ সয়াবিন, সয়া মিল্ক বা টোফু, যে কোনও রূপেই খান, অ্যানিমিয়া দূরে থাকবে।

তিল ও গুড়
তিল ও গুড়ের লাড্ডু শুধুই স্বাদে নয়, গুণেও ভরপুর। তিলে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরকে ডিটক্স করে এবং গুড়ের সঙ্গে মিশে রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। নিয়মিত এই খাবার খেলে দুর্বলতা দূর হয়।

ডালিম
পালং শাকের পাশাপাশি ডালিমও শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন A, C, E ও ফাইবার, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ডালিমের দানা খাওয়া বা তার জুস পান করা-দুইভাবেই রক্তের ঘাটতি পূরণে কার্যকর।

খেজুর
খেজুরকে বলা হয় প্রাকৃতিক আয়রন সাপ্লিমেন্ট। এটি শুধু রক্ত বাড়ায় না, নতুন রক্তকণিকা তৈরি করতেও সাহায্য করে। অ্যানিমিয়ায় ভোগা মানুষদের জন্য রোজ এক মুঠো খেজুরই যথেষ্ট।

ওষুধ নয়, খাবারেই সমাধান
এই দেশি খাবারগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে প্রাকৃতিকভাবে শক্তি ও এনার্জি ফিরিয়ে দেয়। ওষুধের বদলে যদি এই খাবারগুলো নিয়মিত ডায়েটে রাখা যায়, তাহলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।