Advertisement
লাইফস্টাইল

Breathing: পায়ুদ্বার দিয়েও শ্বাস নেওয়া যায়, যুগান্তকারী আবিষ্কার, বাঁচতে পারে বহু প্রাণ

পায়ুদ্বার দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া
  • 1/10

শ্বাসপ্রশ্বাস নাক বা মুখ ছাড়াও শরীরের আরও কোনও ছিদ্র দিয়েও কি নেওয়া যায়? জাপানের গবেষণায় বলা হচ্ছে। হ্যাঁ যায়। পায়ুদ্বার দিয়েও নাকি শ্বাস নেওয়া যায়। সম্প্রতি একটি বিষয় খুব ট্রেন্ডিং, তা হল 'Butt Breathing'। যার বাংলা অর্থ, পায়ুদ্বার দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া। বিজ্ঞানের ভাষায়, 'ইন্টারনাল ভেন্টিলেশন', এমন একটি টেকনিক, যাতে পায়ুদ্বার দিয়ে অক্সিজেন নেওয়া। এবং পায়ুদ্বার দিয়ে শ্বাস নেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় বহু মানুষের জীবন বেঁচে যেতে পারে বলেই জানানো হচ্ছে গবেষণায়। 

 'প্রথমে মানুষকে হাসায়,তারপর ভাবায়'
  • 2/10

আরও ইন্টারেস্টিং বিষয় হল, কিছু জলজ প্রাণী পায়ুদ্বার দিয়েই শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে। এই আবিষ্কারের জন্য গবেষকরা  Ig Nobel Prize 2024 পেয়েছেন। এটি নোবেল প্রাইজ নয়। নোবেলের প্যারোডি ভার্সান। এই পুরস্কার তাঁদেরই দেওয়া হয়, যাঁরা 'প্রথমে মানুষকে হাসায়,তারপর ভাবায়'। 

এখন এই ব্যাপারটি বিশ্বজুড়ে ট্রেন্ডিং
  • 3/10

পায়ুদ্বার দিয়ে শ্বাস নেওয়ার বিষয়টি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ২০২১ সালে। কিন্তু এখন এই ব্যাপারটি বিশ্বজুড়ে ট্রেন্ডিং। কেন? কারণ গবেষণা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভাল রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে। 
 

Advertisement
 বিজ্ঞানীদের মাথায় এল কীভাবে?
  • 4/10

এখন বিষয় হল, এই ধারণাটা বিজ্ঞানীদের মাথায় এল কীভাবে? প্রবাদ আছে, অনুপ্রেরণা লুকিয়ে থাকে জীবনের একেবারে সাধারণ জিনিসের মধ্যেই। জাপানের এই গবেষকরা সেটাই সত্যি করে দেখালেন। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, তাঁদের গবেষণার অনুপ্রেরণা এসেছে মাছ থেকে!

 অন্ত্রের মাধ্যমে অক্সিজেন শোষণ
  • 5/10

গবেষণায় বলা হয়েছে, এক ধরনের মাছ আছে, ‘লোচ’ নামে, মাছটি জলের ওপর থেকে বাতাস গিলে নেয় এবং তার অন্ত্রের মাধ্যমে অক্সিজেন শোষণ করে। ফলে কম অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশেও সে টিকে থাকতে পারে, গিলসের (শ্বাসযন্ত্রের) পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য পায়।

মানুষের উপরেও পরীক্ষা
  • 6/10

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্যের পরে এবার মানুষের উপরেও পরীক্ষা করার দিকে এগোলেন। যদি মানব শরীরেও সাফল্য আসে, তাহলে চিকিত্‍সা বিজ্ঞানে এক আবিষ্কার হবে। পৃথিবীর বহু মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তাকানোরি তাকেবে কথায়, 'এটাই মানুষের উপর করা প্রথম গবেষণা। আর এর ফলাফল এখন পর্যন্ত শুধু প্রক্রিয়াটির নিরাপত্তা যাচাই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, কার্যকারিতা নয়।'

জাপানের প্রায় ২৭ জন সুস্থ পুরুষকে অংশগ্রহণ
  • 7/10

এই গবেষণায় জাপানের প্রায় ২৭ জন সুস্থ পুরুষকে অংশগ্রহণ করানো হয়। তাঁদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পারফ্লুরোকার্বন তরল ৬০ মিনিট ধরে ধরে রাখতে বলা হয়, তবে পরীক্ষার জন্য তরলটি অক্সিজেনযুক্ত করা হয়নি।
 

Advertisement
 শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি
  • 8/10

রেজাল্ট? ২৭ জনের মধ্যে ২০ জন স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেন। বাকি সাতজন সামান্য গ্যাস জমে যাওয়া বা অস্বস্তির অভিযোগ করেন, কিন্তু কারও শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
 

গবেষণায় ইতিবাচক কিছু দিক
  • 9/10

গবেষণায় ইতিবাচক কিছু দিক সামনে আসায়, বিজ্ঞানীরা এখন পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গবেষক তাকানোরি তাকেবে বলেন, আমরা যেহেতু শরীরে এই প্রক্রিয়ার সহনশীলতা নিশ্চিত করেছি, এখন পরবর্তী ধাপে দেখতে হবে, রক্তপ্রবাহে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর।
 

শ্বাসপ্রশ্বাসের মেশিনের সাহায্যেই শরীরে অক্সিজেন
  • 10/10

সাধারণত মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মেশিনের সাহায্যেই শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেওয়া যায়। কিন্তু খুব গুরুতর ক্ষেত্রে, অথবা যখন ভেন্টিলেটর পাওয়া যায় না, তখনও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এক্সট্রাকরপোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ECMO) নামের একটি প্রযুক্তি। যা শরীরের বাইরে থাকা একটি মেশিনের মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ করে। কিন্তু এটি জীবনরক্ষাকারী হলেও ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যয়বহুল এবং জটিল। এখানেই কাজে আসতে পারে EVA। একটি সহজ, কম প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি, যা ফুসফুস (বা ভেন্টিলেটর) ঠিকমতো কাজ না করলে মাঝের সেতুর মতো সাহায্য করতে পারে।

Advertisement