scorecardresearch
 

Mental Health Tips: সবসময়ে খুশি থাকবেন, মেনে চলুন এই ১০ টিপস

Mental Health Tips: সুস্থ থাকতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

Advertisement
কীভাবে আগের মতো হাসিখুশি মন ফিরে পাবেন? কীভাবে আগের মতো হাসিখুশি মন ফিরে পাবেন?
হাইলাইটস
  • সুস্থ থাকতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্যও আমাদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য কিছু টিপস রইল এই প্রতিবেদনে।
  • নিজেই নিজের যত্ন নিন: নিজেকে সময় দিন। রোজ ১ ঘণ্টা নিজের জন্য রাখুন। এমন কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং মন শান্ত করে তোলে।

Mental Health Tips: সুস্থ থাকতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্যও আমাদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য কিছু টিপস রইল এই প্রতিবেদনে। আসুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক:

নিজেই নিজের যত্ন নিন: নিজেকে সময় দিন। রোজ ১ ঘণ্টা নিজের জন্য রাখুন। এমন কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং মন শান্ত করে তোলে। সেটা বই পড়া, ব্যায়াম করা বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো হতে পারে। নিজের যত্ন নেওয়াটা কখনই স্বার্থপরের কাজ নয়। এটি মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে-মধ্যে পছন্দের খাবার, পোশাক, হেয়ারকাট, গল্পের বই, গ্যাজেট, প্রসাধনীতে খরচ করুন। 

সক্রিয় থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। মেজাজ ভাল রাখতে এবং চাপ কমাতে সপ্তাহে অন্তত ৪-৫ দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

আরও পড়ুন

মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস করুন: মাইন্ডফুলনেস শব্দটা ভারী মনে হতে পারে। দৈনন্দিন রুটিনে ধ্যান, ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা যোগার মতো অভ্যাস যোগ করুন। মাত্র ৫ মিনিট করেই শুরু করুন। এটিই মাইন্ডফুলনেস। ২-৩ দিন করলেই এর প্রভাব টের পাবেন।

প্রিয়জনদের সাহায্য নিন: কোনও কাছের বন্ধু, মা-বাবা বা স্বামী/স্ত্রী, যাঁর সঙ্গে কথা বললে মন হালকা হয়, তাঁর সঙ্গে রোজ যোগাযোগ রাখুন। আপনার মনে কী চলছে সেটা ভাল করে ব্যাখা করুন। কাউকে নিজের মনের কথাগুলো বলতে পারলে অনেকটা হালকা বোধ হয়।

সবকিছুতে মাত্রা রাখুন: কোনও কাজ আপনার মনে অযথা চাপ সৃষ্টি করে? সেটি জীবন থেকে বাদ দিন। কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে মন খারাপ হয়? তাঁর সঙ্গে মেশা বন্ধ করুন। এতে বিব্রত বোধ করার কিছু নেই।

Advertisement

ঘুম: রোজ ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। মন এবং শরীরকে রিচার্জ করতে প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের লক্ষ্য রাখুন। সকালের অ্যালার্মের অন্তত ৮.৩০-৯ ঘণ্টা আগে বিছানায় শুয়ে পড়ুন। সেই সময়ে ফোন দূরে রাখুন। 

স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: অত্যধিক স্ক্রিন টাইম, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, অপ্রতুলতা এবং উদ্বেগের অনুভূতিতে অবদান রাখতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহারের চারপাশে সীমানা নির্ধারণ করুন এবং বাস্তব জীবনের সংযোগ এবং অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিন।

কৃতজ্ঞ থাকুন: আপনার পরিবার, বাড়ি, পোশাক, খাবার অনেকের কাছে স্বপ্ন। তাঁরা আপনার জীবন পেলে ধন্য মনে করবেন। এই সত্যটি সবসময়ে মাথায় রাখুন। সেটা মেনেই চলুন। সবসময়ে ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। এটি আপনার মনকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে। 

মনোবিদের সাহায্য নিন: যদি দীর্ঘদিন ধরে দুঃখ, মানসিক উদ্বেগ বা চাপের অনুভূতি হতে থাকে, তাহলে হেলাফেলা করবেন না। কোনও পেশাদার মনোবিদের কাছে যান। এই নিয়ে কোনও দ্বিধা বোঝ করবেন না। 

নিজের প্রতি সদয় হোন: আত্ম-সহানুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযুদ্ধে আরও কোটি-কোটি বিশ্ববাসীর মতো আপনিও লড়াই করছেন। সেটি স্বীকার করুন। এরপর নিজের প্রতি একটু দয়াবান হন। নিজেকে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দিন। কোনও কাজে সফল হলে নিজেকে ছোট ছোট উপহার দিন। 

দৈনন্দিন জীবনে এই টিপসগুলিকে কাজে লাগান। সেটা করলেই জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করাটা আরও সহজ হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হবে। মনে রাখবেন, রোজ ছোট-ছোট পরিবর্তনই সময়ের সঙ্গে আপনাকে অনেক বড় বদল আনতে সাহায্য করবে।

Advertisement