Child Screen Time: ১ ঘণ্টার বেশি ফোন ঘাঁটে সন্তান? পরীক্ষায় ১০ শতাংশ নম্বর কমতে পারে

ডিজিটালে এজ-এ বাস করছি আমরা। তাই এখনকার বাচ্চারা জন্মের পর থেকেই মোবাইলের সঙ্গে পরিচিত। সেই পরিচিতি থেকে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে গ্যাজেটের প্রতি ভালোবাসা। তার পর সঙ্গী হচ্ছে একাধিক সমস্যা। এমনকী অধিক স্ক্রিন টাইমের জন্য ছোটদের পড়তে, লিখতে এবং অঙ্ক করতে সমস্যা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে একটি গবেষণায়।

Advertisement
১ ঘণ্টার বেশি ফোন ঘাঁটে সন্তান? পরীক্ষায় ১০ শতাংশ নম্বর কমতে পারে
হাইলাইটস
  • কানাডার ৫ হাজার বাচ্চার উপর ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয় গবেষণা
  • ছোট বয়সে মোবাইলের ব্যবহার শিশুর পরবর্তী জীবনে সমস্যা হতে পারে
  • কমে যেতে পারে তার কগনিটিভ স্কিল

ডিজিটালে এজ-এ বাস করছি আমরা। তাই এখনকার বাচ্চারা জন্মের পর থেকেই মোবাইলের সঙ্গে পরিচিত। সেই পরিচিতি থেকে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে গ্যাজেটের প্রতি ভালোবাসা। তার পর সঙ্গী হচ্ছে একাধিক সমস্যা। এমনকী অধিক স্ক্রিন টাইমের জন্য ছোটদের পড়তে, লিখতে এবং অঙ্ক করতে সমস্যা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে একটি গবেষণায়।

গবেষণায় কী দেখা যায়? 
কানাডার ৫ হাজার বাচ্চার উপর ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয় গবেষণা। এই গবেষণায় দেখা যায়, ছোট বয়সে মোবাইলের ব্যবহার শিশুর পরবর্তী জীবনে সমস্যা হতে পারে। কমে যেতে পারে তার কগনিটিভ স্কিল। বিশেষত, অঙ্ক এবং কোনও কিছু পড়ার ক্ষমতা কমতে পারে বলে এই গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে। গবেষণাটি জামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।


কমতে পারে মার্কস
জানলে অবাক হয়ে যাবেন, শিশুদের ক্ষেত্রে প্রতিঘণ্টা স্ক্রিন টাইম বাড়ার কারণে বাচ্চার অ্যাকাডেমিক পারফর্মেন্স কমতে প্রায় ৯ শতাংশ। অন্যদিকে একটু বড় বাচ্চাদের প্রতি ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম বাড়ানোর জন্য ১০ শতাংশ কমতে পারে অঙ্ক করার ক্ষমতা। পাশাপাশি লেখার ক্ষমতাও কিছুটা কমে যেতে পারে।

কীভাবে হয় গবেষণা?
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা ছোটদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার স্ক্রিন টাইম সম্পর্কিত তথ্য জোগার করেন। এক্ষেত্রে বাচ্চা টিভি, গেমিং কনসোল, ট্যাবলেট এবং মোবাইলে কতটা সময় তাকিয়ে থাকে, সেটাই ছিল বিবেচ্যে। এর পর বাচ্চাগুলির Ontario's Education Quality and Accountability Office (EQAO)-এ টেস্ট নেওয়া হয়। সেখানেই দেখা যায় যে শিশুর স্ক্রিন টাইম যত বেশি, তার পড়াশোনার মান ততটাই পড়তির দিকে।

কমছে অ্যাটেনশন স্প্যান
নিয়মিত মোবাইলে সময় দেওয়ার ফলে, সেখানে রিল দেখার ফলে বাচ্চাদের কমছে অ্যাটেনশন স্প্যান। যার ফলে তারা আর পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে পারছে না। এমনকী তারা পড়াশোনার সময় বোর ফিল করছে। তাদের ব্রেনের নার্ভ নতুন ভাবে স্টিমুলেট হচ্ছে। যার জন্য ফোকাস করার ক্ষমতা হারাচ্ছে তাদের ব্রেন। এমনকী ডিপ থিঙ্কিং-ও করতে পারছে না। 

Advertisement

কী করবেন? 
বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের দিকে নজর দিন। তারা যাতে বেশি ফোন, টিভি বা ল্যাপটপের দিকে তাকাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করুন। তার বদলে তাদের বই পড়তে দিন। বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দিন। ব্যাস, এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

 

POST A COMMENT
Advertisement