scorecardresearch
 

Air Pollution: ভয়াবহ দূষণেও ফিট রাখতে পারে এই ১০ খাবার, এককথায় 'মহৌষধ'

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকার বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ৪৫০-এর উপরে রয়ে গেছে। সোমবার সকালে নয়ডায় AQI ৬১৬ রেকর্ড করা হয়েছিল, যা খুব বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
  • দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকার বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ৪৫০-এর উপরে রয়ে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকার বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ৪৫০-এর উপরে রয়ে গেছে। সোমবার সকালে নয়ডায় AQI ৬১৬ রেকর্ড করা হয়েছিল, যা খুব বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। দিল্লির 'গ্যাস চেম্বার' হওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বলেছে যে দিল্লির দূষণ যে দূষণের মান নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি হয়েছে। এ ধরনের দূষিত পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা বিষাক্ত বাতাসের প্রভাব কমায়। কলকাতার পরিস্থিতিও ভালো নেই।

আজ আমরা এমন ১০টি খাবারের কথা বলছি যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে এবং সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাবে। 

টমেটো- টমেটোতে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। লাইকোপিন আমাদের শ্বাসযন্ত্রের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসাবে কাজ করে এবং বাতাসে উপস্থিত ধূলিকণা থেকে শ্বাসযন্ত্রকে রক্ষা করে। আমলা- অনেক গবেষণায় দেখা গেছে আমলা খেলে লিভারের ধূলিকণার খারাপ প্রভাব দূর হয়। বাতাসে উপস্থিত ধূলিকণা লিভারের ক্ষতি করে এবং আমলা সেবন সেই ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

হলুদ- হলুদ একটি চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাতাসে উপস্থিত বিষাক্ত ধূলিকণা থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে সুস্থ করে তোলে। হলুদ, গুড় এবং ঘি এর মিশ্রণ খাওয়া হাঁপানি রোগে খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়।

 তুলসী- তুলসী বায়ু দূষণের খারাপ প্রভাব থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। এছাড়া তুলসী গাছ বাতাসে উপস্থিত ধূলিকণা শোষণ করে বায়ুকে বিশুদ্ধ করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১০-১৫ মিলি তুলসীর রস পান করলে শ্বাসযন্ত্রের দূষিত কণা বের হয়ে যায়। 

Advertisement

সাইট্রাস ফল- কমলা, পেয়ারা, কিউই, জাম্বুরা, লেবুর মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এসব ফল নিয়মিত খেলে দূষণের খারাপ প্রভাব দূর হয় এবং ফুসফুস শক্তিশালী হয়। 

গুড়- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টের অনেক সমস্যায় গুড় খাওয়া খুবই কার্যকর। তিলের সাথে গুড় খাওয়া খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। আপনি চাইলে গুড় ও তিল মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করুন এবং নিয়মিত খান। 

গ্রিন টি- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি পান করলে শরীরের সমস্ত ময়লা দূর হয়। দূষণের খারাপ প্রভাব কমাতে দিনে দুই কাপ গ্রিন টি খান। 

আখরোট- আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা নিয়মিত সেবন আপনাকে হাঁপানি থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন আখরোট খাওয়া আপনাকে অনেক শ্বাসকষ্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। 

বিটরুট- বিটরুটে নাইট্রেট যৌগ রয়েছে যা ফুসফুসকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের মতে, নাইট্রেট রক্তনালীকে শিথিল করে, রক্তচাপ কমায় এবং শরীরে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখে। বীট মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম। পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। 

রসুন- রসুন খেলে শরীরে সংক্রমণ ও জ্বালাপোড়া হয় না। এতে অ্যালিসিন পাওয়া যায় যা হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। 

 

Advertisement